ইরানের জবাবের পালটা খুঁজতে জরুরি বৈঠকে বসেছে নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভা বা ‘ওয়ার ক্যাবিনেট’। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইজরায়েল রাষ্ট্র তৈরির পরে প্রতিবেশি আরব দেশগুলির উপর নিজেদের ‘প্রয়োজনে’ বিমান কিংবা মিসাইল হানা চালিয়ে এসেছে ইজরায়েল। এই প্রথম মধ্য এশিয়ার কোনও দেশ ইজরায়েলকে ‘পালটা’ জবাব দেওয়ার ‘সাহস’ দেখাল।
শনিবার-রবিবার মধ্যরাতে ইজরায়েলে মিসাইল এবং ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ১ এপ্রিল দামাস্কাসে ইরানীয় দূতাবাসে মিসাইল হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল। সেই হামলায় ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড বাহিনীর একাধিক শীর্ষকর্তা সহ ৭ জন ইরানীয় সামরিক অফিসার প্রাণ হারান। তারই পালটা শনিবার-রবিবার হামলা চালায় ইরান। ইরানের অত্যাধুনিক একাধিক ক্ষেপনাস্ত্র ইজরায়েলী মিসাইল প্রতিরোধী ব্যবস্থার নাগাল এড়িয়ে আছড়ে পড়ে নেগেভ মরুভূমিতে তৈরি নেভাটিম বিমান ঘাঁটিতে।
সেই হামলার জবাব দিতে সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ নিজের যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইজরায়েলের উগ্র দক্ষিণপন্থী প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বৈঠকে নেতানিয়াহু সরকার পালটা প্রত্যঘাতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই আমেরিকা সহ ইজরায়েলের পশ্চিমী রক্ষাকর্তাদের অনেকেই জানিয়েছে, ইজরায়েল নতুন করে হামলা শুরু করলে তাঁদের পক্ষে ইজরায়েলকে সমর্থন চালিয়ে যাওয়া কঠিন।
রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টোনিও গুটেরেজ সোমবার দু’পক্ষকে সংযত হওয়ার বার্তা দিয়ে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সংঘাত শুরু হলে, তার ফলাফল গোটা বিশ্বের জন্য হবে ভয়াবহ।
Comments :0