Islampur

ইসলামপুরে রান্নার গ্যাসের বায়োমেট্রিক লিংক করতে গিয়ে বিপাকে গ্রাহকরা

রাজ্য জেলা

তপন বিশ্বাস, ইসলামপুর 

 

ইসলামপুরে রান্নার গ্যাসের বায়োমেট্রিক লিংক করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকেরা। তাদের অভিযোগ হঠাৎ করে ইসলামপুরের ইন্ডিয়ান ওয়েলের ইন্ডেন গ্যাসের এক ডিস্ট্রিবিউটর বায়োমেট্রিক লিংক করতে গেলে গ্যাসের পাইপ ও লাইটার কেনা বাধ্যতামূলক করেছে। তার জন্য ৩৫০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। গ্যাসের পাইপ ও লাইটার না নিলে বায়োমেট্রিক লিংক না করিয়ে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ওই সংস্থার ইসলামপুরের ম্যানেজার চন্দন সিংহ।

সম্প্রতি বিভিন্ন রান্নার গ্যাস সংস্থা গ্যাস সংযোগের সাথে আধার  লিংকের বায়োমেট্রিক এর কাজ শুরু হয়েছে। এতদিন ওই সংযোগ কোন টাকা পয়সা নেওয়া হতো না। এমনকি পাইপ ও লাইটার কেনা বাধ্যতামূলক ছিল না। হঠাৎ করে এমন কি হলো যে বুধবার সকাল থেকে রান্নার গ্যাসের সংযোগের সাথে আধারের বায়োমেট্রিক করতে গিয়ে ৩৫০ টাকা দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের। ইসলামপুর জেল সংলগ্ন রান্নার গ্যাসের অফিসে গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে মৌখিক ফরমান জারি করা হয় যে বায়োমেট্রিক করাতে গেলে লাইটার এবং পাইপ কেনা বাধ্যতামূলক। গতকাল পর্যন্ত যেখানে বিনা পয়সায় বায়োমেট্রিকের কাজ করা হতো সেখানে হঠাৎ করে ৩৫০ টাকা মূল্যে পাইপ ও লাইটার বাধ্যতামূলক করায় বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকদের একাংশ। এদিন কয়েকজন গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, ‘‘আমরা কোন টাকা পয়সা নিয়ে আসিনি অফিসে হঠাৎ করে এসে দেখি ৩৫০ টাকা জমা দিয়ে পাইপ ও লাইটার না নিলে  ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা কোন টাকা পয়সা নিয়ে আসেনি। ফলে এইভাবে হয়রানি করার কোন অর্থ হয় কি? আমরা গরীব মানুষ হঠাৎ করে ৩৫০ টাকা কোথায় পাবো?’’

ইসলামপুরের ওই শাখার ইনচার্জ চন্দন সিংহ বলেন বিষয়টি বাধ্যতামূলক নয় তবে ইনডেন গ্যাসের নিয়ম রয়েছে পাঁচ বছরের বেশি পাইপের বয়স হয়ে গেলে তা পাল্টানো প্রয়োজন। তবে কাউকে বাধ্য করা হচ্ছে না যদি কেউ স্বেচ্ছায় নিতে চান তাহলে নেবেন আর নিতে না চাইলে কোন কথা নেই। তবে জোর করে পাইপ ও লাইটার বিক্রির অভিযোগ ঠিক নয়। ওই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থার শিলিগুড়ি ডিভিশনের আধিকারিক রাজন রঞ্জন বলেন, ‘এই ভাবে জোর করে পাইপ কিংবা লাইটার বিক্রি করার বেআইনি। তবে পাইপের বয়স পাঁচ বছর পার হয়ে গেলে তা পাল্টানো উচিত। না হলে গ্রাহকরা দুর্ঘটনা জনিত বিমার সুযোগ-সুবিধা পেতে সমস্যায় পড়তে পারেন। তবে তা বাধ্যতামূলক নয়। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’ 

Comments :0

Login to leave a comment