খান ইউনিসে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি হয়ে উঠেছিল উদ্বাস্তুদের আশ্রয়। সেখানেও বোমা ফেলতে ছাড়ল না ইজরায়েলের বাহিনী। বুধবার ইজরায়েলের ট্যাঙ্ক থেকে ছোঁড়া বোমায় আগুন ধরে যায় পুরো বাড়িটিতে। ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ঘটনাস্থলেই। আহত শতাধিক।
ইজরায়েলের এই হামলার নিন্দা করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ত্রাণ বিষক্ষক বিভাগ ইউএনআরডব্লিউএ।
ইজরায়েলের লাগাতার বোমাবর্ষণে প্যালেস্তাইনের গাজায় আশ্রয় ছাড়তে হচ্ছে লক্ষ লক্ষ মানুষকে। ২৩ লক্ষ মানুষের বাস গাজায়। ১৫ লক্ষের বেশি মানুষ আশ্রয়হারা। যাঁদের আশ্রয় রয়েছে, সেখানেও ন্যূনতম নাগরিক পরিষেবা নেই। ভেঙে দেওয়া হচ্ছে হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়।
প্যালেস্তানীয় কর্তৃপক্ষ এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে। বলা হয়েছে, ‘‘যুদ্ধের মেয়াদ বাড়াতে চাইছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। একের পর এক আঘাত করে চলেছেন বসতি অঞ্চলে। যেখানে সাধারণ নাগরিকরা ছাড়া আর কারও থাকার সম্ভাবনাই নেই।’’
বিভিন্ন অংশই বলছে, দেশে নিজেরনড়বড়ে অবস্থা কাটাতে গাজায় আক্রমণ হেনে চলেছে ইজরায়েলের বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রশাসন। গাজা থেকে প্যালেস্তানীয়দের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জিগির তোলা হয়েছে, দেশে জাতিবিলোপের এই স্লোগানই রাজনৈতিক কারণে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার সকাল থেকেই খান ইউনিসে একের পর এক হামলা হতে থাকে। ইজরায়েলের বাহিনী এখানেই উদ্বাস্তু শিবিরগুলিতে অবিরাম বোমা ফেলছে। প্যালেস্তাইন আগেই জানিয়েছে যে নিহতের সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে। তার মধ্যে নারী এবং শিশুদের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে।
আরবের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে গাজায় হাসপাতাল তো পরের কথা, চিকিৎসা পাওয়ার কোনও সুযোগ প্রায় নেই। ওষুধের ব্যবস্থা নেই। অথচ লাগাতার বোমাবর্ষণে গুরুতর আহতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। রয়েছে শিশুরা, রয়েছেন মহিলারা।
GAZA BOMBING
গাজায় আশ্রয়শিবিরে পরপর বোমা ইজরায়েলের, নিহত ৯, আহত শতাধিক
×
Comments :0