‘‘বাংলার যুব প্রজন্ম জেগে উঠছে। নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করছেন তাঁরা। কর্মসংস্থান, ইনসাফের দাবিতে ধারাবাহিক লড়াই চালাচ্ছেন বাংলার যুব সমাজ। বিজেপির কায়দাতেই বাংলায় সংবিধান এবং আইনের শাসন ধ্বংস করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রাজপথের দখল নিচ্ছেন বাংলার নতুন প্রজন্ম।’’
শুক্রবার ভিডিও বার্তায় এমনটাই বললেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা জম্মু-কাশ্মীরের শীর্ষ সিপিআই(এম) মহম্মদ ইউসুফ তারিগামি।
রবিবার কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সমাবেশের ডাক দিয়েছে ডিওয়াইএফআই। সেই সমাবেশকে সংহতি জানিয়ে দিল্লি থেকে ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন তারিগামি। এদিন এসএফআই সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাসকে পাশে দাঁড় করিয়ে বাংলার যুব প্রজন্মের লড়াইকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন কাশ্মীরের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ।
তারিগামি বলেছেন, ‘‘আমরা আশাবাদী ইনসাফ এবং হক আদায়ের এই লড়াই ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থে জনতাকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারবে। যুবদের এই লড়াই বাংলাকে নতুন দিশা দেখাবে বলেই আমাদের অভিমত। বাংলার যুবসমাজ এবং ডিওয়াইএফআই’র সমস্ত স্তরের কর্মী-সমর্থক এবং সংগঠকদের লাল সেলাম।’’
তারিগামির পাশাপাশি এদিন ব্রিগেড সমাবেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন শিল্পী সব্যসাচী চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, ‘‘৭ জানুয়ারি ব্রিগেডে সমাবেশ হচ্ছে। যাঁরা রাজ্যের এবং মানুষের ভালো চান, তাঁদের অবশ্যই এই সমাবেশে উপস্থিত থাকা প্রয়োজন। যেভাবে রাজ্য এবং দেশ চলছে, সেভাবে চালানো যায়না। মানুষের সহ্যের সীমা পেরিয়ে যাচ্ছে।’’
ব্রিগেডের সমর্থনে সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির ফেসবুক পেজ থেকেও চালানো হচ্ছে নজরকাড়া প্রচার। একটি ডিজিটাল পোস্টার শেয়ার করা হয়েছে এই পেজে। সেখানে আঙুলের ছাপের ছবি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা প্রত্যেকে অনন্য। কিন্তু আমরা ঐক্যবদ্ধ।’’
প্রতিটি মানুষের আঙুলের ছাপ ভিন্নতার প্রতীক। কিন্তু বিভিন্নতার ভিড়েও জোট বাঁধছেন মানুষ। বাঁচাতে হবে সংবিধান, দেশ, রাজ্য। তাই বৈচিত্র নিয়েও ব্রিগেডের ময়দান ভরানোর প্রত্যয় নিয়েছেন রাজ্যের মানুষ।
Comments :0