সৌরভ গোস্বামী ও প্রতীম দে
যারা বলেছিল বাচ্চারা পারবে তো? তারা আজ বলছে বড়রা কই? ওদের বুকে ভয় ধরে গেছে আজ কয়েক লক্ষ মানুষের আগমন দেখে। যারা সৈফুদ্দিন, সুদীপ্ত, আনিস খানদের খুন করেছে তাদের রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার জন্য আজকের এই ইনসাফ সমাবেশ। যার লেখাপড়া, চাকরির সুযোগ কেড়ে নিয়েছে তাদের অন্যায়ের প্রতিশোধ নিতে আজকের এই সমাবেশ।
রবিবর ব্রিগেডে এ কথা বলেছেন এসএফআই’র রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টচার্য। তিনি বলেন, ‘‘স্কুল কেড়ে নিচ্ছে সরকার। কলেজ সিট ফাঁকা। নাবালিকা বিবাহ বাড়ছে। জাতীয় শিক্ষা নীতি গোটা প্রজন্মের মেরুদণ্ড ভেঙে দিচ্ছে। তৃণমূলের ভিতরের কথা হচ্ছে- ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর পুরনো নতুন দুটোই চোর।’ তৃণমূল বিজেপি মানুষকে বোকা বানাচ্ছে। আমাদের বিকল্পের কথা বলতে হবে।
সৃজন বলেন, ‘‘আমরা মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাই। নতুন ভোরের সূর্যোদয়ের বার্তা দেবে এই ব্রিগেড।’’
এদিন ব্রিগেডে সম্বর্ধনা জানানো হয় ডিওয়াইএফআই’র রাজ্যের প্রাক্তন সম্পাদক সভাপতিদের। পদ যাত্রীদের টিম লিডার বিদ্যুৎ নস্কর যে ফুল দিয়ে সম্মান জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিমগ্নরাজ ভট্টাচার্য। বই দিয়ে সম্মান জানান প্রাক্তন যুবনেতা আভাস রায়চৌধরী। মেমেন্টো দিয়ে সম্মান জানান মহম্মদ সেলিম। স্থায়ী পদযাত্রী দের সম্মান জানান রাজ্য কমিটির সদস্যরা।
সৃজন বলেন, ‘‘যতদিন এই দেশে অপশাসন লুট থাকবে বামপন্থীরা লড়ে যাবে। ২৯১০ কিলোমিটার হেঁটেছে বামপন্থীরা। কখনও শিক্ষার দাবিতে কখনো হলদিয়া পেট্রো কেমিক্যাল, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বামপন্থীরা বার বার পথে নেমেছে। ইনসাফ লড়াই ধারাবাহিক। যেই ময়দানের লড়াইয়ের এজেন্ডা হবে না জাত বা ধর্ম। লড়াইয়ের শর্ত হবে কাজ, রুটি, রুজি।’’
মীনাক্ষী বলেন, ‘‘চোখের সামনে এখনও মইদুলকে দেখতে পাই। ১৫-১৬ জন পুলিশ পিটিয়ে খুন করেছে। লাশ কাটা ঘরের গন্ধ ভুলে যাইনি। সুদীপ্ত সাইফুদ্দিনের লাশটাকে নিয়ে এসেছে সেই গন্ধ এখনও নাক থেকে যায়নি। কী করে এদের ছেড়ে দেবো? ছেড়ে দিলে লোক বেইমান বলবে। সেই কথা বলতে দেবো না। আমরা কথা দিতে পারি এই লড়াইয়ের ময়দান থেকে এক ইঞ্চি জায়গা ছেড়ে দেবো না।’’
Comments :0