প্রসঙ্গত, ৩৩৬ আসনের পাকিস্তান সংসদে সরাসরি নির্বাচন হয় ২৬৫ আসনে। সেই নির্বাচনে ম্যাজিক সংখ্যা ১৩৩।
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে উদ্ধৃত করে আল জাজিরা জানাচ্ছে, পাকিস্তানের সর্ববৃহৎ দল হিসেবে উঠে এসেছে ইমরান খানের পিটিআই বা পাকিস্তান তেহেরিক ই ইনসাফ। নির্বাচনের সপ্তাহ খানেক আগে ইমরান খানের দলের প্রতীক কেড়ে নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তারফলে নির্দল হয়ে ভোটে লড়েন পিটিআই প্রার্থীরা। তাঁরা ৯৩টি আসনে জিতেছেন। শরিফ ভাইদের পাকিস্তান মুসলিম লিগ জিতেছে ৭১টি আসনে এবং পাকিস্তান পিপলস্ পার্টি জয়ী হয়েছে ৫৩ আসনে। অন্যান্যরা জয়ী হয়েছেন ২৯টি আসনে।
ইমরান খান পাকিস্তানের ক্ষমতাশালী সামরিক প্রতিষ্ঠানের বিরোধী হিসেবে পরিচিত। পিটিআই’র অভিযোগ ছিল, সেনার নির্দেশেই ইমরানের দলের প্রতীক কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তাঁদের নির্বাচনী প্রচার এবং অনলাইন প্রচারেও বাধা দেওয়া হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এত কিছুর পরেও ইমরানের দলের জনসমর্থন পাওয়া আটকাতে পারেনি পাক সেনা। তাই ঘুরিয়ে শরিফ ভাইদের এবং বিলাওয়াল ভুট্টোকে বার্তা দেওয়া হয়, নিজেদের বিভেদ সরিয়ে রেখে ইমরানকে সরকার গঠন করা থেকে আটকাতে হবে। সেই বার্তায় সদর্থক সাড়া মিলেছে দুই পক্ষের তরফে।
ইতিমধ্যে যদিও ইমরান শিবিরের তরফে অভিযোগ আনা হয়েছে, নির্বাচনী ফল ঘোষণায় অত্যধিক বিলম্ব করা হয়েছে। সেই সুযোগে ঢালাও কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই এবং নির্বাচনী ফল বদলে দেওয়া হয়েছে। বহু ক্ষেত্রে পিটিআই’র জয়ী প্রার্থীদের সংশাপত্র কেড়ে নেওয়ার ঘটনাও সামনে এসেছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা পাকিস্তানের ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও ফল প্রকাশে দেরি হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
Comments :0