Sandeshkhali people agitation

সন্দেশখালিতে জনরোষে পুড়লো তৃণমূল নেতার পোলট্রি

রাজ্য জেলা

জেলিয়াখালিতে তৃণমূল নেতার পোলট্রিতে আগুন ধরিয়ে দিলেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারকে গ্রেপ্তারের দাবিতে লাগাতার বিক্ষোভ দেখিয়ে যাচ্ছেন সন্দেশখালির সাধারণ গ্রামবাসীরা। বুধবার সন্দেশখালি থানার সামনে আঁচড়ে পড়ে জনরোষ। পুলিশের সামনে লাঠি, বাঁশ, কাঠারি হাতে রাস্তায় নামেন গ্রামের মহিলারা। তাদের দাবি একটাই গ্রেপ্তার করতে হবে ওই তিন তৃণমূল নেতাকে। একজন বলেন, ‘‘পুলিশ ওদের কোমড়ে দড়ি পড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে এই দৃশ্য দেখলে আমরা বাড়ি চলে যাবো।’’ গ্রামের লোকদের অভিযোগ পুলিশের সাহায্যেই শাহজাহান গা ঢাকা দিয়ে আছেন।

বুধবার রাতে শিবপ্রসাদ হাজরা ওরফে শিবুর একটি পোলট্রিতে আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। এদিনও তারা একটি পোলট্রি জ্বালিয়ে দিয়েছে। গ্রামের মহিলাদের অভিযোগ গায়ের জোড়ে জমি দখল করে এই সব পোলট্রি, ইঁট ভাটা তৈরি করেছে শাহজাহান বাহিনী। গ্রামের ছেলেদের এই সব জায়গায় কাজ করতে তারা বাধ্য করতেন। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন যে তাদের কাজ করিয়ে টাকা দেওয়া হতো না উল্টে টাকা চাইতে গেলে তার মারধর করতেন তৃণমূলের নেতারা। এছাড়া মহিলা জোর করে দলীয় দপ্তরে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও তারা করছেন। 

সন্দেশখালি থানার দাড়িরজঙ্গল মৌজার পেত্নি ঘোলা ও কর্ণখালির গরিব আদিবাসী ও অন্যান্য অংশের মানুষ তাদের জমি ফেরতের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন। গত ৩১ জানুয়ারি ও ৫ ফেব্রুয়ারি রাস্তায় নামেন আন্দোলনকারীরা, চলে অবস্থান বিক্ষোভও। তাঁরা দুদফায় থানা এবং বিডিও অফিসের দ্বারস্থ হন। ৫ফেব্রুয়ারি থানা অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। শেষে বিডিও অভিযোগ জমা নেন। তাদের অভিযোগ বিগত ৩-৪বছর ধরে জমি লিজের টাকা মিলছে না। শয়ে শয়ে বিঘার পর বিঘা জমিতে শেখ শাহজাহান, শিবপ্রসাদ হাজরা ও উত্তম সর্দাররা মাছচাষ করে আসছে। তাঁরা সরকারি খাল ব্যবহার করতে পারেন না। গ্রামবাসীদের অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের সন্দেশখালি -১নং ব্লক সভাপতি ফেরার বাহুবলী শেখ শাহজাহান, তৃণমূল কংগ্রেসে সন্দেশখালি-২ব্লকের সভাপতি জেলা পরিষদ সদস্য শিবুপ্রসাদ হাজরা ও অপর জেলা পরিষদ সদস্য সুশান্ত সর্দার ওরফে উত্তম সরদারের বিরুদ্ধে। তাঁদের দাবি জমি ফেরত দিতে হবে। পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও আন্দোলনকারীরা প্রথম থেকেই তুলছেন। শাহজাহানের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার জন্য শাসক দলের হুমকির মুখেও পড়তে হচ্ছে।  

Comments :0

Login to leave a comment