SALIM ALIPURDUAR

পুলিশের থেকে মানুষ বেশি সাহসী: সেলিম

রাজ্য

রবিবার সন্ধ্যায় আলিপুরদুয়ারে মিছিলে মহম্মদ সেলিম এবং সিপিআই(এম) নেতা ও কর্মীরা।

শম্ভুচরণ নাথ, আলিপুরদুয়ার
 

রাজ্যের পুলিশ বা কেন্দ্রের পুলিশের থেকে গ্রামের মানুষ অনেক বেশি সাহসী।  সন্দেশখালিতে দেখেছি যে দীর্ঘদিন অত্যাচার সহ্য করার পর মানুষের যখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে বেরিয়ে এসে প্রতিরোধে নেমেছেন। ক্যামেরার সামনে মুখও খুলছেন। 
রবিবার আলিপুরদুয়ারে সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। রবিবারই সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে  পৌরসভা থেকে বিএফ রোডে আলিপুরদুয়ার চৌপতি পর্যন্ত মিছিল হয়।  অংশ নেন সেলিমও।
সেলিম বলেছেন, ‘‘আমাদের ১৬ জন কমরেডকে জেল হেপাজত দিয়েছে। প্রাক্তন বিধায়ক এবং খেতমজুর আন্দোলনের নেতা নিরাপদ সরকারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে রেখেছে। অথচ রাজ্যের পুলিশ আসল অপরাধীদের খুঁজে পাচ্ছে না।’’
রবিবার সন্দেশখালি যান রাজ্যের তৃণমূল সরকারের তিন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, সুজিত বসু এবং বীরবাহা হাঁসদা। সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতোও ছিলেন তাঁদের সঙ্গে। কালিনগর গ্রামে যান তাঁরা। মানুষের রোষ সামাল দেওয়ার চেষ্টায় মন্ত্রীদের এই সফরে প্রশ্ন বরং বেড়েছে। বামফ্রন্টের সময়ে পাট্টা দেওয়া জমি দখল করেছে তৃণমূলের নেতা শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা উত্তম সর্দাররা। মানুষ প্রতিবাদ করতে গেলে আক্রমণ চালানো হয়েছে পুলিস নিশ্চুপ থেকেছে। নিরাপদ সর্দার প্রাক্তন বিধায়ক, তাঁর বাড়িতেই দফায় দফায় হামলা হয়েছে।  
সেলিম বলেন, ‘‘শুধু সন্দেশখালি নয় গোটা রাজ্য লুট চালাচ্ছে তৃণমূল দল। দুই সরকারই ধর্মকে বর্ম করে অপকর্মকে ধামা চাপা দিতে চাইছে।’’

সেলিম বলেন, ‘‘সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপি সরব হয়েছে কিন্তু মণিপুরে দাঙ্গা নিয়ে কোনও কথা নেই। প্রধানমন্ত্রী যেমন মণিপুর যাননি, তেমনই সন্দেশখালিতে মুখ্যমন্ত্রী যাননি। দু’জনেই মিল কাজের কায়দা দেখলে বোঝা যায়।’’ 
সেলিম বলেন, ‘‘মোদী সরকার বুলডোজারের রাজনীতি করছে। বাংলাদেশি, রোহিঙ্গা বলে দিচ্ছে। ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, আধার কার্ড বাতিল করার কথা বলছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের মৌলিক সমস্যা নিয়ে কোনও কথা বলছে না।’’ 
নির্বাচনী বন্ড প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে এই বন্দোবস্ত অসংবিধানিক। একমাত্র সিপিআই(এম) নির্বাচনী বন্ডে কোনও টাকা নেয়নি। বিজেপি সবার ওপরে, তৃণমূলের আয়ের বড় উৎস অস্বচ্ছ নির্বাচনী বন্ড।’’ 
সেলিম বলেন, মমতাকে দুর্গা সাজিয়ে আর এস এস বাংলায় পাঠিয়েছে। আসলে সবই নাগপুরের প্রোডাক্ট। মোদি মমতা দু’জনকেই চালাচ্ছে কর্পোরেট গোষ্ঠী। 
কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে সেলিম বলেন, ‘‘বামদলগুলির সঙ্গে আমরা কথা বলছি। তারপর বিজেপি এবং তৃণমূলর বিরুদ্ধে সব শক্তির সঙ্গে কথা হচ্ছে। এই দুই শক্তিকে হারাতে মানুষ একজোট হবেন।’’ 
এদিন আলিপুরদুয়ার জেলা দপ্তরে পার্টির জেলা  সম্পাদক মন্ডলীর সভা করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। ছিলেন জেলা সম্পাদক কিশোর দাস এবং রাজ্য কমিটির সদস্য অলোকেশ দাস। তারপর বর্ধিত জেলা মিটিং হয়। এরপর হয় মিছিল। 

Comments :0

Login to leave a comment