Fire

আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদে আগুন, উঠছে প্রশ্ন

রাজ্য

Fire

বিধ্বংসীঅগ্নিকান্ডে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ ( এডিডিএ)-এর যাবতীয় নথিপত্র আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেল। সোমবার গভীর রাত্রে দুর্গাপুর সিটিসেন্টারেএডিডিএ ভবনের তিনতলায় আগুন লাগে। আগুন লাগার সময় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এডিডিএ ভবন থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দূরে দমকলের দপ্তর। সিটিসেন্টরের দমকল আধিকারিক সুদীপ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, আমরা রাত ২.১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ছি। সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে দেখি আগুন পুরো তিন তলার ভবনকে গ্রাস করেছে। এত তাড়াতাড়ি আগুন ছড়িয়ে পড়ায় আগুন লাগার সঠিক সময় নিয়ে তিনিও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। নিরাপত্তা কর্মীদের একজন বলেন, আমরা রাত দেড়টা নাগাদ আগুন দেখে ওপর মহলে খবর দিয়েছি। তারও ৪০ মিনিট পরে দমকলে খবর গেছে। এই বিলম্ব কেনো? এই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দমকলের দুর্গাপুর দপ্তর সহ অন্ডাল, রানিগঞ্জ, আসানসোল, পানাগড়, ডিএসপি’র দমকল, ডিভিসি’র দমকল, বেঙ্গল অ্যারোট্রপলিস থেকে দমকলের অনেকগুলি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজে লাগে। প্রায় পাঁচ ঘন্টার চেষ্টায় লেলিহান আগুনকে আয়ত্তে আনতে সক্ষম হয়েছেন কর্মীরা। তবুও ভবনে অনেকগুলি জায়গায় ফায়ার পকেট ছিল। বেলা ১০টা পর্যন্ত পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। 


এডিডিএ’র চেয়ারম্যান তাপস ব্যানার্জি, কার্যনির্বাহী আধিকারিক আকাঙ্ক্ষা ভাস্কর, সহকারি কার্য নির্বাহী আধিকারিক অভিজিৎ সামন্ত, মহকুমা শাসক, দুর্গাপুর নগর নিগমের চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন আধিকারিক ও এডিডিএ’রসর্বস্তরের কর্মীরা ছুটে আসেন। 


দমকলের বিভাগীয় আধিকারিক এস মজুমদার আক্ষেপ করে বলেন, এখানে কোথাও জলের উৎস ছিলনা। আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। একটি আবাসন থেকে ইঞ্জিন দিয়ে জল টেনে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়েছে। আগুন নেভাতে গিয়ে এক দমকল কর্মী ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে পাঠনো হয়েছে। এডিডিএ’র চেয়ারম্যান তাপস ব্যানার্জি বলেন, কীভাবে আগুন লেগেছে বলতে পারবোনা। দলিল দস্তাবেজ ছিল ওখানে। অন্তর্ঘাত করে কার কী লাভ হবে? ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি চলছে, চাপা দিতে হবে, এমন ঘটনাও নয়। বিপদ বলে কয়ে আসেনা। এটা দুর্ঘটনা। এদিকে এডিডিএ’রকার্যনির্বাহী আধিকারিক আকাঙ্ক্ষা ভাস্কর বলেন, ফরেনসিক তদন্ত করাবো। তাতে অনেকটা বোঝা যাবে। আলাদা করে পূর্ণাঙ্গ তদন্তও দরকার। 
এডিডিএ’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান বংশগোপাল চৌধুরী বলেন, আগুনে ল্যান্ড রেকর্ড, কাজের অ্যাপ্রুভাল, টেন্ডারের নথি, অর্থনৈতিক নথি সহ জরুরি নথি সব নষ্ট হয়েছে শুনেছি। এটা খুবই উদ্বেগের। নিয়ম মাফিক ফায়ার ব্রিগেডএকটা রিপোর্ট দেবে। শুনেছি ফরেনসিক তদন্ত করার কথা সিইও বলেছেন। এটা হলে খুবই ভালো হয়।


 

Comments :0

Login to leave a comment