DU Modi question

মোদী কোয়েশ্চন দেখানোয় ছাত্রদের টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল দিল্লি পুলিশ

জাতীয়

‘ইন্ডিয়া দি মোদী কোয়েশ্চন’ (India the Modi Question) দেখানো নিয়ে তুমুল অশান্তি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। ছাত্রদের বেধড়ক মারল পুলিশে। এমনকি ক্যাম্পাস চত্বর থেকে টেনে হিঁচড়ে পড়ুয়াদের নিয়ে গেল পুলিশ (Delhi Police)। বেশ কয়েকজন ছাত্রকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। ছাত্রদের ওপর পুলিশি নির্যাতনকে সমর্থন করেছে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক রজনি আব্বি জানান যে ‘ পুলিশ যা করেছে ঠিক করেছে। ছাত্রদের তো অনুমতি দেওয়া হয়নি ছবিটি দেখানোর জন্য। পুলিশ যেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে সেখানে জমায়েত করল কেন।’


শুক্রবার বিকেল ৫.৩০ নাগাদ ‘ইন্ডিয়া দি মোদী কোয়েশ্চন’ দেখানোর কথা আগেই ঘোষণা করেছিল এসএফআই(SFI)। সেই মতো আর্টস ফ্যাকাল্টির সামনে বহু ছাত্র ছাত্রী এসে জমা হয়। অভিযোগ স্ক্রিনিং শুরু করার ঠিক আগে ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলা চালায় আরএসএস। তারপরেই পুলিশ এসে এলোপাতাড়ি লাঠি চালাতে থাকে, ছাত্রদের টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়।
দিল্লির বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে করা বিবিসি’র(BBC) ডকুমেন্টারি ‘মোদী কোয়েশ্চন’ দেখানোয় বাধা দেওয়ায় বারবার বিতর্ক উঠছে। দু’দিন আগে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে(JNU) এসএফআই ‘মোদী কোয়েশ্চন’ দেখানোর কথা ঘোষণা করার পরেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া(Jamia Milia University) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসএফআই ছাত্রদের তুলে নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়(Delhi University) ও আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও অনুমতি দেয়নি। সঙ্গে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। 


একদিকে যেমন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে তেমনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যম্পাস চত্বরে যে কোনও জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আর্টস ফ্যাকাল্টির সামনে যেখানে এসএফআই স্ক্রিন লাগিয়েছিল সে জায়গায় বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা জমায়েত করতে পারবে না বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাল্টা দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে যে বিশ্ববিদ্যালয় গুলি যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের এই ডকুমন্টারি দেখাতে অনুমতি না দেয় সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবুও বিশাল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে উত্তর দিল্লির দুটি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই। 


‘ইন্ডিয়া দি মোদী কোয়েশ্চন’ বিবিসি’র এই ডকুমেন্টারি ইতিমধ্যেই ঝড় তুলেছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে। গুজরাট গণহত্যায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যে সরাসরি মদত ছিল তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছে বিবিসি। আর তাতেই আপত্তি কেন্দ্রের। নরেন্দ্র মোদীকে কলুষিত করা হচ্ছে বলে ডকুমেন্টারিটি আইটি আইন ২০২১’র ১৬ নম্বর ধারায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই ধারায় বিবিসি’র অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে কোনও ব্যক্তি যদি নিজের মোবাইলে ডকুমেন্টারিটি দেখতে চান তার ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। 

গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা যদিও এই প্রথম সামনে এল এমন নয়। বারবারই ধরা পড়েছে সংখ্যালঘু গণহত্যায় সরাসরি মদতের ভূমিকা।  

Comments :0

Login to leave a comment