পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভাবে এগিয়ে থাকার দাবি করছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই বা পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ। বর্তমানে দুর্নীতি সহ একাধিক অভিযোগে জেলবন্দী রয়েছেন সস্ত্রীক ইমরান খান। আদালতের নির্দেশে দীর্ঘদিনের জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে খান দম্পতিকে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন পিটিআই’র নির্বাচনী প্রতীকও কেড়ে নেয় সাধারণ নির্বাচনের সপ্তাহ খানেক আগে। ইমরান খান সহ পিটিআই’র গোটা শীর্ষ নেতৃত্ব জেলে। তারপরেও বিপুল জনমত রয়েছে খানের সঙ্গে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে পিটিআই’র এক্স হ্যান্ডেলে।
এক্স হ্যান্ডেলে পিটিআই’র তরফে জানানো হয়েছে, ৩৩৬ আসনের পাকিস্তান জাতীয় সংসদে ৯২ আসনে এগিয়ে রয়েছে তাঁদের প্রার্থী। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নাওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ(নওয়াজ)। তাঁরা এগিয়ে রয়েছে ৪২ আসনে। পাকিস্তানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো’র পুত্র বিলাওয়াল ভুট্টো’র পাকিস্তান পিপলস পার্টি এগিয়ে রয়েছে ২৪ আসনে। যদিও নির্বাচন কমিশন প্রতীক কেড়ে নেওয়ার ফলে পিটিআই প্রার্থীরা নির্দল হিসেবে ভোটে লড়ছেন।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষার অজুহাতে গোটা ভোট গ্রহণ পর্বে পাকিস্তানে ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। বিকেল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
পিটিআই’র তরফে দাবি করা হয়েছে, ১২৩ নম্বর লাহোর আসনে পিটিআই প্রার্থীর থেকে পিছিয়ে রয়েছেন নওয়াজ শরিফের ভাই তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এছাড়া শাংলা, মুলতান, ঝাং, কোহট, হরিপুর, কামোনকি,মারদানের মত আসনগুলিতে পিটিআই প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে। পিটিআই’র দাবি, রাজধানী শহর ইসলামাবাদেও তাঁদের প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা অবধি পাকিস্তানে ভোটগ্রহণ পর্ব চলে। তারপর শুরু হয়েছে গণনা। নির্বাচনের দিন সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ৯জন। প্রচার চলাকালীন ৫০’র বেশি প্রাণহানীর ঘটনা সামনে এসেছে। কিন্তু সেই সমস্ত কিছু উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ।
Comments :0