Shantanu Banarjee

সিম কার্ড বিক্রেতা থেকে রকেট উত্থান শান্তনুর

রাজ্য

বলাগড়ে শান্তনু বন্ধ্যোপাধ্যায়ের ধাবা

২০০৫ সালে মোবাইল সিম ও কসমেটিকস বিক্রেতা ছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় সেখান থেকে রকেটের গতিতে উত্থান হয় তাঁর। বাবা ছিলেন বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মী। বাবার মৃত্যুর পর বিদ্যুৎ দপ্তরে কাজ পান। এরপরেই ধাপে ধাপে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন শান্তনু। প্রথমে জিরাট কলেজে ছাত্র পরিষদের দায়িত্ব পান। পরে ব্লকের পাশাপাশি জেলাতেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিলেন দীর্ঘদিন। এরপর যুব সংগঠনের সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন জেলায়। এরপরেই তাকে রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সোহম চক্রবর্তীর সাথে হুগলি জেলার পাশাপাশি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যুবর অবজারভারের দায়িত্ব ছিলেন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারকেশ্বর থেকে জয়ী হয়ে হুগলি জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ হন।

সেই থেকে আস্তে আস্তে প্রতিপত্তি বিস্তার করতে থাকে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় । জিরাটের বাড়ির কাছে বারুইপাড়ায় রয়েছে ‘দ্যা স্পুন’ নামে আধুনিক রেস্টুরেন্ট ও ধাবা। ২০২১ সালে এই ধাবা তৈরি হয়। এসটিকেকে রোডের পাশে যেখানে এই ধাবা তৈরি হয়েছে সেখানে চারটি পরিবারের বসবাস ছিল। সেই পরিবার গুলোকে ধাবার পিছনে পুনর্বাসন দেওয়া হয়। তবে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারগুলোর।

ধাবা, হোমস্টের পাশাপাশি বলাগড়ের চাদরা বটতলা  অঞ্চলে গঙ্গার পরে বিশাল একটি রিসোর্ট আছে শান্তনু ব্যানার্জি। রিসোর্টের পাশাপাশি বেশ কিছু জমিও নামে বেনামে কিনেছেন শান্তনু বলে দাবি এলাকাবাসীর। মাঝে মাঝেই এই রিসোর্টে বাইরে থেকে বেশ কিছু গাড়ি আসতো ঘন্টার পর ঘন্টা চলতে মিটিং। কে বা কারা আসতো তাই নিয়ে অবশ্য খুব বেশি কিছু জানেন না স্থানীয়রা।

 

স্থানীয় বাসিন্দা সুকুমার নন্দী জানিয়েছেন, শান্তনু ব্যানার্জীর নামে এই রিসোর্ট। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষজন আসতো এখানে এবং তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলতো মিটিং। রিসেট ছাড়াও আরো বেশ কিছু জায়গা রয়েছে যেগুলো শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে রয়েছে। এছাড়াও বহু জায়গা বেনামেন কেনা রয়েছে।

বলাগড় মানুষের আরও অভিযোগ ধাবা ছাড়া রিসোর্ট, হোটেল, হোম স্টে, একাধিক ফ্ল্যাট এবং প্রচুর জমি রয়েছে শান্তনুর।

Comments :0

Login to leave a comment