যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কান্ডে গ্রেপ্তার আরও ছয় জন। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ন’জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। লালবাজারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে যেই দিন স্বপ্নদীপের মৃত্যু হয় সেই দিন ধৃত ছয়জনের একটি ভূমিকা ছিল ওই ঘটনার সাথে। তাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমান লোপাট করার অভিযোগ রয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে খবর।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যেই ছয়জন গ্রেপ্তার হয়েছে তার মধ্যে দুজন প্রাক্তন ছাত্র রয়েছে। স্বপ্নদীপ কুন্ডুর মৃত্যুর পর থেকেই হোস্টেলে প্রাক্তন ছাত্রদের থাকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এক দল ছাত্রদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে এই প্রাক্তনীদের নেতৃত্বেই র্যানগিং করা হতো নতুন আসা ছাত্রদের। উল্লেখ্য যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা স্বপ্নদীপের ঘটনার পর হঠাৎ করেই হোস্টেল ছেড়ে চলে যায়।
শুধুমাত্র ছাত্রদের এই ঘটনার জন্য জেরা করা হচ্ছে তা নয়। শিক্ষা অধিকারিকদেরও জেরা করা হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। বুধবার দুপুরে লালবাজারের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার এবং ডিন এফ স্টুডেন্টকে ডাকা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
স্বপ্নদীপের ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একাধিক অধ্যাপক র্যাডগিং সহ ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে চলতে থাকা একাধিক বিষয় নিয়ে সামাজিকমাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
Comments :0