কেন্দ্র ১০০দিনের টাকা দিচ্ছে না, তাই রাজ্য সরকার প্রাপকদের টাকা দিতে পারছে না। এতোদিন এই কথা বলে আসছিল রাজ্য। তারপর বাজেটে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষনা করলেন যে ১০০ দিনের মজুরি দেওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আলাদা বরাদ্দ করা হচ্ছে। সেই মতো টাকা বরাদ্দ করাও হয়।
ব্লকে ব্লকে তৃণমূলের কর্মীরা ফর্ম ছাপায়, দলীয় প্রতীক দেওয়া ফর্ম। বকেয়া মজুরি পাওয়ার জন্য তৃণমূলের ফরম পূরণ করতে হচ্ছে, আর সেই ফরম পূরণের সময়ে গ্রামবাসীদের থেকে টাকা নিয়েছে তৃণমূল।
পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ব্লকের দশগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নানকা বুথে তৃণমূলের বুথ সভাপতি বিনন্দ মণ্ডল, পঞ্চায়েত সদস্য রণবীর পালুই সহ তৃণমূলের কর্মীরা গ্রামের মধ্যে চাটাই পেতে আসর বসিয়েছেন। সেখানেই জব কার্ড, আধার কার্ড নিয়ে হাজির হতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। রেগায় কাজ করা যে কোনও ব্যক্তি জানেন, তাঁর কত দিনের মজুরি বকেয়া। কিন্তু তাঁর নামে বেশি দিন কাজের হিসাব জমা করে রেখেছে তৃণমূল, অভিযোগ এমনই। যেমন, এক গ্রামবাসীর ১৮ দিনের মজুরি বকেয়া। তাঁর নামে তৃণমূলের নেতারা ৩২ দিনের কাজের হিসাব মাস্টাররোলে দেখিয়ে রেখেছেন।
উল্লেখ্য ভুয়ো জব কার্ড বানিয়ে ১০০ দিনের টাকা চুরি করা হয়েছে রাজ্য, তা স্পষ্ট। কেন্দ্রের অভিযোগ রাজ্য সরকার হিসাব দিচ্ছে না বলে তারা টাকা পাঠাচ্ছে না। অন্যদিকে রাজ্যের অভিযোগ কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে। বামপন্থীদের পক্ষ থেকে বার বার বলা হয়েছে যে দুই সরকার এই বিষয় শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক। সেই শ্বেতপত্র দুই সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়নি।
Comments :0