রাজ্য ধার নেবে ৭৯,৭২৭ কোটি টাকা। মোট ধার হবে ৬,৯৩,২৩১.৬৬ কোটি টাকা। বাজেটের আর্থিল আয়তন হবে ৩ লক্ষ ৬৬ হাজার কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বাজেট ভাষণেই স্পষ্ট আয়ের জন্য ধারের ওপরই ভরসা করছে রাজ্য। ধারের বোঝা বিপুল হয়েছে গত প্রায় ১৩ বছরে।
সরকারের ধার মেটানোর দায় শেষ পর্যন্ত বইতে হয় সাধারণ মানুষকেই। তাঁদের থেকে নেওয়া করের টাকায় সুদ মেটাতে হয়। পাশাপাশি ছাঁটাই হয় স্কুল-কলেজের জন্য বরাদ্দ।
এই রাস্তা নিয়েই বৃহস্পতিবার পেশ হয়েছে রাজ্য বাজেট। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পে বৃদ্ধির ঘোষণা রয়েছে। তবে তাতে অর্থনীতির সামগ্রিক চাহিদা বাড়ছে না। সে কারণে রাজ্যের রাজস্ব আদায় সীমাবদ্ধ থাকছে। যেতে হচ্ছে ধারের পথে।
বাজেটে রাজ্য সরকারি শূন্যপদে ৫ লক্ষ নিয়োগের ঘোষণা হলেও কোথাও জানানো হয়নি তা স্থায়ী নিয়োগ হবে কিনা। পিএসসি’র মাধ্যমে নিয়োগ হয় না। সামান্য হলেও তা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ প্রচুর। কোনও বিধি ছাড়া দলের সমর্থক কর্মীদের চাকরি কাজ দেওয়ার প্রকল্প সিভিক পুলিশ বা ভিলেজ পুলিশদের বেতন ১ হাজার টাকা বাড়ানোর ঘোষণা রয়েছে বাজেটে। পুলিশে এদের অন্তর্ভুক্তির সীমাও ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০ শতাংশ। কিন্তু কাজ দেওয়ার এই পুরো প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ, যোগ্যতার মাপকাঠি একমাত্র আনুগত্য।
Comments :0