শাহজাহান বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হওয়া মহিলারা আজ পথে নেমেছেন। শিবু হাজারা, উত্তম সর্দারদের লুঠের সাম্রাজ্য আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন গ্রামের মানুষজন। সেলিম বলেন, ‘‘মহিলাদের দুর্দশার কথা পুলিশ জানতেন না? এটা হতে পারে? যে বা যারা অপরাধী তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। ভাঙড়, গোসাবা, বাসন্তী, মীনাক্ষা জুড়ে জমি লুঠ, ভেরি লুঠ, অস্ত্র মজুত রেখেছে তৃণমূল। বামপন্থীরা বলেছিল লাঙ্গল যার জমি তার আর মমতা বলছে অস্ত্র যার জমি তার।’’
‘‘কোন জাতীয় কমিশন, রাজভবন, বিজেপি, আরএসএস বাংলাকে শান্তিতে থাকতে দেবেনা। মানুষকে শান্তি দেবেনা, গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে না। ওরা মানুষকে ভাগ করছে লুঠ এবং দুস্কৃতি রাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য।’’ রবিবার সংবাদিক সম্মেলন থেকে বিজেপি এবং তৃণমূলকে এই ভাবে একযোগে আক্রমণ করলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
সন্দেশখালির মানুষের অভিযোগ পুলিশ শাহজাহান এবং তার লোকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গেলে তারা অভিযোগ নেননি। মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে সেলিম বলেন, ‘‘যেখানে গরু পাচার, কয়লা পাচার, বালি পাচার হয় সেখানে তৃণমূল একটা করে বাহিনী তৈরি করেছে মমতার নির্দেশে। সেই বাহিনীর মাথায় পোশাকি নাম দেওয়া বল্ক সভাপতি, পঞ্চায়েত সদস্যরা থাকেন। তারা না বললে পুলিশ কোন কাজ করে না। বগটুই ঘটনার সময় আমরা এই বিষয়টা দেখেছি।’’
সন্দেশখালির মানুষের সাথে যাতে কোন যোগাযোগ না করা যায় তার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট, জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এই প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, ‘‘মানুষ যখন তৃণমূলের লুঠের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে তখন সন্দেশখালিকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিন্ন করা হয়েছে। বিজেপি কাশ্মীর, মণিপুরের যেই ভাবে যোগাযোগ বন্ধ করেছিল মমতা ঠিক সেই ভাবে এই রাজ্যে একই কাজ করছে।’’
এদিন সন্দেশখালিতে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই এবং মহিলা সমিতির নেতৃত্ব পৌঁছালেও তাদের সেখানে যেতে বাঁধা দেওয়া হয়। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়নি ন্যাজাট থানা এলাকায় । মীনাক্ষী মুখার্জি আসার খবরে পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়ে দিল ন্যাজাট ফেরি ঘাটে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ এবং বাংলার পুলিশ দুজনেই অপরাধীদের গ্রেপ্তার করেন না। কিন্তু অপরাধ যেখানে হয়েছে সেখানে তারা কাউকে যেতে দেয়না। একজন ব্যাক্তি আক্রান্ত একজনের পাশে দাঁড়াতে পারেন এটা তার সাংবিধানিক অধিকার। যারা ইনসাফের জন্য লড়াই করছে তাদের যেতে দেবেনা এটা হতে পারে না।’’
উত্তমের গ্রেপ্তারির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ জানে তৃণমূলে থাকলে ধরা যাবে না। ধরলে মমতা বা অভিষেক এসে ছাড়াবে ভবানীপুর থানার ঘটনার মতো। তাই দল থেকে বার করে দেওয়ার পর ওকে ধরেছে। আমরা বলছি শাহজাহান সহ সবাইকে ধরতে হবে। এতোদিন ওদের ধরেনি কারণ হয় শুভেন্দু না হলে অভিষেকের পকেটে থেকেছে এরা।’’ সেলিম আরও বলেন, ‘‘দল এবং পুলিশের এখন কোন সীমানা নেই।’’ তার কথায়, ৭৫-২৫ ভাগাভাগিতে গোটা রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশের পাশাপাশি পরিবেশের পরিমন্ডলকেও তারা দুষিত করছে তৃণমূল।
Comments :0