Suvendu Adhikari

মালদায় শুভেন্দু অধিকারীকে 'গো ব্যাক' স্লোগান

রাজ্য

Suvendu Adhikari


ভোট লুটের কান্ডারী এখন আর তৃণমূল নেতা নন বিজেপির বড় নেতা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। শুক্রবার তিনি মালদহে এলেন। মথুরাপুরে, মানিকচক ব্লকে জনসভা করতে। এদিন মথুরাপুরে হাট বাড়ি। হাটে প্রায় এক লক্ষ মানুষ আসেন। বিজেপি এই দিনটিকে বেছে নিয়েছে। প্রশাসন হবিবপুরে সভার অনুমতি না দিলেও মথুরাপুরে সভার অনুমতি দেয়। হাট বার বলে এমনিতেই এদিন লোক হয়। এই ব্লকে তৃণমূল বিজেপি ছেড়ে মানুষ প্রায় প্রতিদিন লাল ঝান্ডা হাতে তুলে নিচ্ছেন। তাই আতঙ্কিত বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলও। তাই সভা করার অনুমতি অসুবিধা হয় নি। তাই এদিনই ওই হাটেই পাল্টা সভা করে সিপিআই(এম)। শ্লোগান ওঠে গো ব্যাক ভোট লুটেরা। হয় সভা ও সুব্রত সরকারের সভাপতিত্বে।

 সভায় বক্তব্য রাখেন দেবজ্যোতি সিনহা, মোজাফফর হোসেন, রত্না ভট্টাচার্য, আমিরুল হক, সমীরণ মুখার্জী, সনৎ কর্মকার প্রমূখ। নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে বলেন এবারো তিনি কোন বড় পরিকল্পনা রূপায়ণ করার পরিকল্পনা রয়েছে যা মানিকচকের মানুষ মেনে নেবে না।


২০১৮ সালে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজ্যে তখন শাসক দল তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তখন মালদহ,  মুর্শিদাবাদ উত্তর দিনাজপুর জেলায় তৃণমূল কার্যতঃ অস্তিত্বহীন। সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই তিন জেলার দায়িত্বে আনা হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। ওই নির্বাচনে ভোটের দিন ও ভোট গণনার দিন জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় ভোট লুট ও গণনা কেন্দ্রে কারচুপি করে তৃণমূলকে জেতাতে নেতৃত্ব দেন এই শুভেন্দু অধিকারী। ভোটের দিন বুথ থেকে ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার লুট করে আম বাগানে নিয়ে গিয়ে যেমন ভোট দেওয়া হয় তেমনি গণনা কেন্দ্রে বিরোধীরা ভোটে এগিয়ে থাকলেও বিরোধী প্রার্থী ও কাউন্টিং এজেন্টদের ঘর থেকে বের করে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী বলে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। সরকারী গণনা কর্মীরা এই কাজ করেন। আর এতে নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ "সাহা" উপাধিধারী আধিকারিক। এইসব ঘটনায় বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস দলের পাশাপাশি অনান্য দলও প্রতিবাদে সামিল হয়েছিল সেই সময়। এমন কি মানিকচক ব্লকের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী মামলা পর্যন্ত করেছিলেন।

Comments :0

Login to leave a comment