Manoranjan Byapari

প্রয়োজনে বিধায়ক পদ ছাড়তে তৈরি : মনোরঞ্জন ব্যাপারী

রাজ্য

অভীক ঘোষ- বলাগড়

দলীয় দুই পদ থেকে ইস্তফাবিধায়ক পদও ছাড়তে চান বলে সামাজিক মাধ্যমে ঘোষণা করলেন বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটির সদস্য হুগলি জেলা ও সাধারণ সম্পাদক পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি, এই দুটি দলীয় পদ থেকে ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেন বলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্টে উল্লেখ করেন তিনি। পোস্টে তিনি লেখেন‘‘বিধায়ক পথ থেকেও ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু যেহেতু আমি একটি চাকরি করতাম নির্বাচনে দাঁড়াবার জন্য সেটি ছাড়তে হয়েছিল। দু বছরের অধিক সময় হয়ে গেল ৫০ বার ছোটাছুটি করেও যার পেনশন ও গ্যাচুইটির কিছুই পাইনি তাই এই মুহূর্তে বিধায়ক পদ ছাড়তে পারছি না। তাহলে খাবো কিযেদিন পেনশন পেতে আরম্ভ করব এই পদ থেকেও সরে দাঁড়াব।’’ বলাগড়ের তেরোটি পঞ্চায়েত তার বিধানসভা এলাকায় মগড়ায় ৪টি পঞ্চায়েত রয়েছে। সবকটিতে বিরোধীরা জিতবে। তার কারণ দলের অন্তর কলহ। বলাগড় ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নবীন গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে মূলত তার অভিযোগ, সে টাকা নিয়ে টিকিট বন্টন করেছেন। বিধায়কের পক্ষ থেকে যে টিকিট দেওয়ার কথা ছিল সেই টিকিট দেওয়া হয়নি। এরই মধ্যে তিনি চাঞ্চল্যকর একটি অভিযোগ করেনদলীয় যে প্রতীক সেই প্রতীক একজন প্রার্থীকেই দেওয়া হয়। এক একটি আসনের জন্য। তাহলে বলাগড়ে যতজন কে প্রার্থী করা হয়েছে ততগুলি দলীয় প্রতীক দেওয়া উচিত। বিধায়কের অভিযোগ, তা না করে দুটি করে দলীয় প্রতীক দেওয়া হয়েছে। এমনকি পানের দোকান থেকে সিম্বল বিক্রি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিধায়ক। দলের নির্দেশ ছিল নামের তালিকা প্রকাশের পর মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে কিন্তু ব্লক সভাপতি ২২৪টি আসনে আগেই মনোনয়ন জমা করেছিলেন। গতকাল ছিল মনোনয়ন তোলার শেষ দিন। সেখানে প্রথমে যে মনোনয়ন জমা দিয়েছিল সেই দলের টিকিট পেয়েছে। 

বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন‘‘বিজেপি সিপিএম সবার সাথে লড়াই করব কিন্তু নিজের দলের লোকের সাথে আর লড়াই করতে চাই না। আমাদেরও দলীয় প্রতীক দিয়েছে ওদেরও দলীয় প্রতীক দিয়েছে। আমরা অপেক্ষা করেছিলাম তালিকায় কখন নাম আসবে সেই নাম গুলি নমিনেশন করব। নবীন গাঙ্গুলী সবকটি আসনে নমিনেশন করেছে। তালিকায় নাম আসার পরেই আমরা সেই নাম নমিনেশন করাই। এরপর দল নবীন ও আমাদেরকেও প্রতীক দিয়েছে দল। যেহেতু আমরা পরে নমিনেশন দিয়েছি তাই তাদের গুলো গ্রাহ্য হয়েছে। এত অতিরিক্ত সিম্বল পান দোকান থেকে বিক্রি হল কি করেতাহলে এত অতিরিক্ত সিম্বল ব্লক সভাপতি পেল কিভাবে?’’ বিধায়কের আশঙ্কা এখন তার পক্ষে কুড়ি থেকে ২৫ টা আসন থাকে কিনা সেটাই সন্দেহ। তিনি বলেন, ‘‘আমার বিধানসভায় যারা আমার হয়ে লড়াই করেছে তাদের সব নাম কেটে বাদ দিয়ে দিয়েছে। সেখানে নবীনের দিকের লোকেদের প্রার্থী করা হয়েছে। মগরা ব্লকে আমাকে একটিও টিকিট দেওয়া হয়নিঅনেক লড়াই করে হোয়েড়া দিগসুইয়ে কয়েকটা আসন বার করতে পেরেছি। চন্দ্রহাটিমগড়াতে কয়েকটি আসন পেয়েছি যেন মনে হচ্ছে ভিক্ষা দিচ্ছে। অনেকবার উচ্চ নেতৃত্ব কে জানিও কিছু হয়নি। আমাদের শুধু সান্ত্বনা দেওয়া হয়েছে। দলীয় নেতৃত্ব এর সঙ্গে সম্পূর্ণ যুক্ত রয়েছে। আমি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম তার কাছে ৫ মিনিট সময় চেয়েছিলাম। আমাকে সেই সময়ও দেওয়া হয়নি।’’

দলের বিধায়কের এহেন বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া দিয়ে  হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলেন, ‘‘আমরা ওনার লেখা চিঠি কিছু পাইনি,ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন,দল কে লিখিত কিছু জানাননি।কি কারনে ইস্তফা দিচ্ছেন,জানা নেই।’’

 ছবি- বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী।

Comments :0

Login to leave a comment