যতটা কার্বন বাতাসে মিশছে, তার চেয়ে বেশি কার্বন শোষণ করছে। এমনই বীজখামার রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে কেরালায়। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের ঘোষণা, দেশের প্রথম ‘কার্বন নিরপেক্ষ’ বীজ খামার হলো কেরালার আলুভাতেই। ১৪০টি বিধানসভাতে এবার তা হবে। নতুন অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেটে আলাদা করে পরিবেশ বাজেটও পেশ করবে বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সরকার।
‘কারব নিরপেক্ষ’ ধারণা পরিবেশ আন্দোলনের ভিত্তি সারা বিশ্বে। যতটা কার্বন বাতাসে মিশছে মানুষের সক্রিয়তার কারণে ততটাই শেষণ করার মতো পরিবেশের ভারসাম্য তৈরির লক্ষ্য জানায় এই ধারণা।
পরিবেশ আন্দোলনকে রাজনৈতিক সামাজিক চিন্তায় গুরুত্ব দেওয়ার দিকে জোর দিচ্ছে কেরালা সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এবং সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য বিজয়ন বলেছেন ‘পরিবেশ বাজেট’ কেন। তিনি বলেছেন, ‘‘পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে কোন প্রযুক্তিতে কত খরচ দরকার তা ঠিক করতে হবে। তা নাহলে লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না। সেই পথে চলার জন্যই পরিবেশ বাজেট পেশ হবে কেরালায়। নতুন অর্থবর্ষের আগে বাজেট পেশের সঙ্গেই তা করা হবে।’’
আলুভায় এই কৃষি খামার যদিও ১০২ বছরের পুরনো। পরিবেশবিদদের হিসেব প্রযুক্তি, রাসায়নিক সারের মতো বিভিন্ন কাজে মোটের প্রায় ৩০ শতাংশ কার্বন বাতাসে মেশে কৃষিক্ষেত্র থেকে।
কেরালার কৃষি দপ্তর জানিয়েছে, আলুভার খামার থেকে এক বছরে বাতাসে মিশেছে ৪৩ টন কার্বন। আর শোষিত হয়েছে বাতাস থেকে ২১৩ টন কার্বন। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখেই খাদ্যে স্বনির্ভরতার পথে এগোবে কেরালা। ১৪০টি বিধানসভায় এমনই ‘কারবন নিরপেক্ষ’ বীজখামার চালু হবে। সেই কাজ চলছে।
Comments :0