Accident Howrah

দুর্ঘটনায় নিহত বিদ্যাসাগরের ২ অধ্যাপিকা, চালক

জেলা

নিহত অধ্যাপিকা কোন্নগরের নন্দিনী ঘোষ। ছবি: অভীক ঘোষ

হাওড়ার গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন হুগলীর এক গবেষক অধ্যাপকও। গাড়িতেই রোজ পড়াতে যেতেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। 

গাড়িতে নন্দিনীর সঙ্গে ছিলেন সহকর্মী, উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের মিশা রায়, গাড়ি চালক বিশ্বজিৎ দাস। তাঁর বাড়ি হুগলির কোন্নগর কানাইপুরে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন কোন্নগরের নন্দিনী ঘোষ। 

সোমবার মেদিনীপুর থেকে কোন্নগর ফিরছিলেন এক সহকর্মীর সঙ্গে। উলুবেড়িয়া ১৬ নং জাতীয় সড়কে কুলগাছিয়ার কাছে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় চালক সহ তিন জনের। নন্দিনীর বাবা সুদীপ ঘোষ প্রাক্তন আইএএস অফিসার।তিনি জানান,নন্দিনী প্রতিদিন সকাল আটটায় বাড়িতে থেকে বেরোতো।রাত আটটার মধ্যে বাড়ি ফিরত।সোমবার বিকাল ৫ টায় মেদিনীপুর থেকে বেরিয়ে মা স্বাগতা ঘোষকে মেসেজ করে।রাত আটটা বেজে গেলেও বাড়ি না ফেরায় দুশ্চিন্তা শুরু হয়।সুদীপ বাবু তার পরিচিত লালবাজারে কয়েকজন অফিসারকে ফোন করেন।নন্দিনী যোষ এবং বিশ্বজিৎ কারো নম্বরে ফোন করেই যোগাযোগ করতে পারেননি।পরে উলুবেড়িয়া থানার সেকেন্ড অফিসার নন্দিনীর ফোন ধরে বলে দুর্ঘটনার কথা।হাসপাতাল থেকে মৃত্যুর খবর পান।

নন্দিনী ২০১৮ সালে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস ইন্সটিটিউট থেকে বোটানি নিয়ে গবেষণা করেন।দশ বছর ধরে অধ্যাপনা করছেন।প্রথমে শ্রীরামপুর কলেজ পরে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়।

সুদীপ ঘোষ বলেন, মেয়ে মাকে ছাড়া থাকত না। গতকাল সময়ে যখন ফেরেনি। তখনই চিন্তা শুরু হয়।ওরা ফিরছিল উল্টোদিক থেকে গিয়ে একটি গাড়ি ওদের গাড়িকে ধাক্কা মারে। কি ভাবে যে গাড়ি চালায়। মেয়ে আর ফিরবে না ওর মা কি করে থাকবে।

কোন্নগর করাতিপাড়ায় নন্দিনীর প্রতিবেশী শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই ঘটনায় গোটা পাড়া মর্মাহত।গতকাল রাতে দুর্ঘটনার খবর পেয়েছিলাম। পরে জানলাম তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। খুব শান্ত স্বভাবের ছিল সবার সঙ্গে হেসে কথা বলত। গতকাল কলেজ যাওয়ার আগে দেখেছি ওর বাবা টিফিন এগিয়ে দেয়। প্রতিদিন গাড়িতেই যাতায়াত করত।গ বেষণা করেছে, দেশ বিদেশ থেকে অনেক সম্মান পেয়েছিল। পাড়ার গর্ব ছিল নন্দিনী।

Comments :0

Login to leave a comment