সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের তথ্য সুরক্ষা বোর্ড বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, আইন অমান্য করে ইউরোপীয়দের ব্যক্তিগত তথ্য আমেরিকান সার্ভারে পাঠিয়েছে মেটা। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখেছে আইরিশ ডেটা প্রোটেকশন কমিশন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জরিমানা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইউরোপে মেটার কর্মকান্ড খতিয়ে দেখার কাজ করে মূলত আইরিশ ডেটা প্রোটেকশন কমিশন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, ইউরোপীয়দের তথ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর মাধ্যমে সাধারণ তথ্য সুরক্ষা বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করেছে মেটা। এই আইনের ৫ নম্বর ধারায় স্পষ্ট বলা রয়েছে, কোন কোন শর্ত মানলে ইউরোপীয়দের তথ্য অন্যত্র পাঠানো যেতে পারে। কিন্তু মেটা সমস্ত শর্তই লঙ্ঘন করেছে।
তথ্যের গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে অ্যামাজনকে ২০২১ সালে জরিমানা করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। জরিমানার অঙ্ক ছিল ৭৪.৬ লক্ষ পাউন্ড বা ৮০.৫৭ লক্ষ মার্কিন ডলার। সেই অঙ্ককে ছাপিয়ে গিয়েছে মেটা।
জরিমানার পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন মেটাকে নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে, ৬ মাসের মধ্যে আমেরিকায় ইউরোপীয়দের ব্যক্তিগত তথ্য ঝাড়াই বাছাই করা বন্ধ করতে হবে।
ইউরোপীয় তথ্য সুরক্ষা বোর্ডের চেয়ারপার্সন আন্দ্রেয়া জেলিনেক জানিয়েছেন, লক্ষ লক্ষ ইউরোপীয় মেটা ব্যবহার করেন। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের বিপুল পরিমাণ ব্যক্তিগত তথ্য মেটার ভান্ডারে জমা রয়েছে। সেই তথ্যের সুরক্ষার সঙ্গে কোনওভাবেই আপোষ করা হবে না।
ইউরোপে ৩০ কোটির কিছু বেশি মানুষ মেটা ব্যবহার করেন। ভারতে সেই সংখ্যাটা ৩১ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। সেই বিপুল পরিমাণ ভারতীয়ের ব্যক্তিগত এবং কিছু ক্ষেত্রে গোপনীয় তথ্য মেটার ভান্ডারে রয়েছে। কিন্তু সেই তথ্য নিয়ে মেটা কী করছে, সেই তথ্যের গোপনীয়তা নষ্ট হচ্ছে কিনা, সেটা জানার কোনও উপায় নেই। কারণ তার কোনও নজরদারি নেই। ডিজিটাল ইন্ডিয়া নিয়ে ঢাক ঢোল পিটলেও এই সংক্রান্ত কোনও আইন এখনও করে উঠতে পারে নি কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে ক্রমেই জোরালো হচ্ছে তথ্য সুরক্ষা আইনের দাবি।
Comments :0