Economic Survey Swasthya Sathi

উপভোক্তার ১০ শতাংশের কম পেয়েছেন স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা

রাজ্য

উপভোক্তার ১০ শতাংশ পেয়েছেন স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা। বিরোধী কারও অভিযোগ নয়, রাজ্যের অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্টেই রয়েছে এই তথ্য। 
সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে ৯ কোটি মানুষের। তার মধ্যে ৮৫.৭৫ লক্ষ এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। 
সমীক্ষার তথ্যেই স্পষ্ট প্রকল্পের আওতাভুক্তদের ১০ শতাংশও স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পাননি। উল্লেখ্য, এই স্বাস্থ্যবিমা বিনামূল্যে চালু হলে বেশিরভাগ বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান রোগীদের সুবিধা দেয় না। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি অনেকক্ষেত্রে সরকারের থেকে পরিষেবার টাকা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছে। আবার তেমনি সরকারের তরফে, খরচ ভাঁড়িয়ে দেখানোর তথ্যও দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। 
ভুক্তভোগীদের মত, রাজ্যে বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার খরচ গত এক দশকের কিছু বেশি সময়ে লাফিয়ে বেড়েছে। সরকারি ক্ষেত্রে পরিষেবার অভাব তার একটা কারণ। আবার শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের বাণিজ্যিকীকরণও বেড়েছে মারাত্মক হারে। সেখানে সরকারি পরিকাঠামো না বাড়িয়ে বেসরকারি পরিকাঠামোর পিছনে অর্থ ঢালার পরিকল্পনা কাজে দিচ্ছে সামান্য অংশেরই। 
অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে রাজ্যে টাকার চলতি মূল্যে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ১৮ লক্ষ ১৫ হাজার ১১০ কোটি টাকা। কিন্তু দ্রব্যমূল্য হিসেবে রাখলে বৃদ্ধির হার দাঁড়াচ্ছে ৬.৮ শতাংশ। 
চলতি খাতে ঘাটতি ধারাবাহিকভাবে কমানোর কৃতিত্ব দাবি করেছে তৃণমূল সরকার। যার মধ্যে কর বাবদ আয়ও রয়েছে। বলা হয়েছে চলতি খাতে মোট আয়ের শতাংশে ২০১১-তে ঘাটতি ছিল ৩৬.৫৫ শতাংশ। তা এখন কমে হয়েছে ১২.৮৩ শতাংশ। বেতনের মতো চলতি খাতে খরচের তুলনায় আয়ের ফারাকের নিরিখে এই হিসেব করা হয়েছে। 
সংশ্লিষ্ট অংশের বক্তব্য, বামফ্রন্ট সময়ের তুলনায় সরকারি নিয়োগ কমেছে। প্রতি বছর শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা উঠে গিয়েছে। তৃণমূলের ১৪ বছরে সরকারি কর্মচারীর নিয়োগের পরীক্ষায় প্রতি বছর হচ্ছে না। লাগাতার চলছে চুক্তিতে নিয়োগ। ফলে বেতনের মতো চলতি খাতে খরচের দায় কমেছে রাজ্যের। ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে এমন ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment