MODI PAWAR

কারও জমি কাড়েননি শিবাজী, মোদীকে শোনালেন পাওয়ার?

জাতীয়

MODI PAWAR

একরাশ বিতর্কের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে ‘জমি কেড়ে নেওয়ার’ অভিযোগ শুনিয়ে রাখলেন শারদ পাওয়ার। তবে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এক মঞ্চে পাওয়ারের যোগদান ঘিরে বজায় রয়েছে বিতর্ক।

এদিন পুনের এই অনুষ্ঠানে লোকমান্য তিলক জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। বাল গঙ্গাধর তিলকের স্মৃতিচারণায় মোদী বীর সাভারকরকে প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন। তিনি জানিয়েছেন পুরস্কারের অর্থ তিনি দেবেন ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পে। সেই সঙ্গে তাঁর সরকারের মেয়াদে অগ্রগ্রতির দাবি জানান ভাষণে। 

মোদীর সঙ্গে মঞ্চে যোগদান থেকে পাওয়ারকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানিয়েছিল বিজেপি বিরোধী একাধিক দল। তবে তাঁদের অনুরোধ রাখেননি পাওয়ার। এমনকি সোমবার বিরোধী দলগুলির প্রতিনিধিরা তাঁর সময় চাইলেও তিনি দেখা করেননি।  

উদ্ধব থ্যাকারের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা বলেছে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এনসিপি প্রধানের এক মঞ্চে আসা, মোদীকে সম্বর্ধনা দেওয়া, মহারাষ্ট্রে বিজেপি বিরোধী অংশে সংশয় ছড়াবে। 

মহারাষ্ট্রে বিরোধী দুই দলে ভাঙন ধরিয়েছে বিজেপি। শিবসেনার একটি অংশ একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে বিজেপি’র সঙ্গে জোট গড়েছে। তার জেরে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি সরকার পড়ে যায় রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন শিন্ডে। তার পরেই শারদ পাওয়ার এনসিপি ভেঙে বিজেপি’তে যোগ দেন ভাইপো অজিত। বিজেপি জোট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রীও হন। এদিন মঞ্চে ছিলেন অজিত পাওয়ারও। 

মোদী আগে বক্তব্য রাখতে উঠে শারদ পাওয়ার বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্র ছত্রপতি শিবাজীকে স্মরণ করে। লোকমান্য তিলকও শিবাজীকে অনুসরণ করতেন। শিবাজী কিন্তু অন্য কারও জমি কেড়ে নেননি কখনও।’’ তিনি বলেন, ‘‘এর আগে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতীদের লোকমান্য তিলক জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এবার নরেন্দ্র মোদীকে বেছে নিয়েছেন আয়োজকরা। মোদীকে অভিনন্দন।’’

শারদ পাওয়ারের অনুগামীদের দাবি, মোদীকে শুনিয়েই ভাষণে এধই প্রসঙ্গ তুলেছেন পাওয়ার। অন্যের দল ভাঙিয়ে নিজের দিকে টেনে আনার রাজনীতিতে অসম্মতি জানিয়েছেন সরাসরি। মঙ্গলবার পুনের এই অনুষ্ঠানের মঞ্চে পাওয়ারকে দেখা যায় মোদীর সঙ্গে সহাস্যে কথা বলতে।

তবে শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’-য় বলা হয়েছে, ‘‘এনসিপি-কে দুর্নীতিগ্রস্ত দলে বলে আসছে বিজেপি। দল ভাঙিয়েছে। তারপর শারদ পাওয়ার এই অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকতে পারতেন।’’ 

মোদীর সাভারকর প্রসঙ্গের উল্লেখ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মোদী বলেছেন, ‘‘লোকমান্য তিলক তরুণদের কাছে টেনে নিতেন। তিনি বীর সাভারকরকেও কাছে টেনে নিয়েছিলেন।’’

অনেকেই মনে করিয়েছেন যে উগ্র রাজনৈতিক হিন্দুত্বের ভিত্তি গড়ার জন্য সাভারকরকে বরণ করে বিজেপি এবং আরএসএস। সেই সাভারকর ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রাম থেকে হিন্দুদের বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই সাভারকরের সঙ্গে তিলকের সম্পর্ক ছিল না। ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামে সাভারকর অংশ নিয়েছিলেন। ছাত্র অবস্থায় তিলকের নজরে পড়েন বলেই মত একাংশের। কিন্তু এই সাভারকর ব্রিটিশ জেল থেকে ছাড়া পান ক্ষমাভিক্ষা করে। ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামে অংশ না নেওয়ার শর্তে। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর উগ্র হিন্দুত্ববাদের প্রচারক হন তিনি। 

Comments :0

Login to leave a comment