Heatwave Cabbage

তীব্র দাবদাহে ক্ষতিগ্রস্ত অসময়ের বাঁধাকপি

জেলা

Heatwave Cabbage


তীব্র দাবদাহে হাসফাঁস জনজীবন। জলস্তর নিম্নমুখী হওয়ায় দেখা দিচ্ছে পানীয় জলের সঙ্কট। তারই মধ্যে বাড়তি যোগ হয়েছে চাষবাসের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।মাঠের সবজি মাঠেই শুকিয়ে খাঁক হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে চলা তাপপ্রবাহে। মাথায় হাত কৃষকের। বাজারে সবজির অগ্নিমূল্যে নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা সাধারণ ক্রেতার। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই বাজার থেকে উধাও হয়ে যাবে গ্রীষ্মের হরেক সবজির পসরা। আশঙ্কা বসিরহাট-১নং ব্লকের গাছা গ্রামের কৃষকদের।সেখানে প্রবল তাপপ্রবাহে অসময়ের বাঁধাকপির চাষ ব্যাপক ক্ষতির মুখে। বিঘের পর বিঘে বাঁধাকপি নষ্ট হওয়ায় মাথায় হাত কৃষকদের।

 



রাজ্যজুড়ে চলতে থাকা তাপপ্রবাহের সাথে পাল্লা দিয়ে বসিরহাটের তাপমাত্রাও ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে।আবহাওয়াবিদদের কথা অনুযায়ী দীর্ঘ ১৩ বছর পর আবহাওয়ার এমন চরম পরিস্থিতি।

বাঁধাকপি সাধারণত শীতকালীন সবজি। কিন্তু বসিরহাটে অসময়ের বাঁধাকপি চাষ করে কৃষকদের ভালই লাভ হয়। তাই কয়েকবছর ধরে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া গাছা গ্রামের কৃষকরা এই অসমমের বাঁধাকপি চাষ শুরু করেছেন। এই চাষ করে ভাল লাভ হওয়ায় এলাকার কৃষকদের অনেকেই এবার এই বাঁধাকপি চাষ করেছেন। কেউ একবিঘা কেউ দেড়- দুবিঘা জমিতে বাঁধা কপি চাষ করেছেন। কিন্তু প্রচণ্ড গরমে সূর্যের তাপে জমিতে বাঁধাকপি পুঁড়ে সব শুকিয়ে নষ্ট হওয়ায় তাদের মাথায় হাত। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। অনেকেই মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বাঁধাকপির চাষ করেছিলেন। কিন্তু প্রবল তাপপ্রবাহে সব কপি পুঁড়ে শুকিয়ে নষ্ট হওয়ায় কৃষকরা কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন। 

 


তারা জানান এই চাষ করে প্রতি বছর ভালই লাভ হয়। তাই কেউ ৪০ হাজার কেউ ১ লক্ষ টাকা খরচ করে এই চাষে নেমে পড়েন। সেচের জল দিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। মাটি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।বৃষ্টির দরকার। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় জল না পেয়ে প্রচণ্ড গরমে সূর্যের তাপে কপি পুঁড়ে সব শেষ। তাই তাদের আবেদন সরকার যদি তাদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে,তারা এই বিপুল ক্ষতির হাত থেকে এ যাত্রায় বেঁচে যাবেন।
 

Comments :0

Login to leave a comment