মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য বাম প্রার্থীদের ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই রাজ্যের জেলায় জেলায় বাড়ছে হিংসা, হমকি, হামলার মতো ঘটনা। মনোনয়ন জমার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার পরে মনোনয়ন প্রত্যাহারের দাবিতেও সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। তাদের মদত দিচ্ছে পুলিশ। পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তার না করে আক্রান্তদের গ্রেপ্তার করেছে এমন ঘটনাও আছে।
আবার এমনও দেখা গেছে স্ক্রুটিনিতে মনোনয়ন পত্র সর্বসম্মত ভাবে পাশ হয়ে যাওয়ার পরেও সিপিআই(এম) সমর্থিত নির্দল প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। সেই বাতিল হওয়ার খবর প্রার্থীকে ফোন করে জানাচ্ছেন খোদ বিডিও। ঘটনাস্থল উত্তরবঙ্গের রাজগঞ্জ ব্লক।
রাজগঞ্জের বিডিও প্রার্থীকে ফোন জানিয়েছেন, আপনার মনোনয়ন পত্র বাতিল করতে বাধ্য হয়েছি। ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ভোটে লড়ছেন। তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় জেতাতেই রাজগঞ্জের বিডিও শাসকদলের হয়ে এই নজিরবিহীন বেআইনী কাজ করেছেন বলে অভিযোগ।
রবিবার মধ্যরাতে কামারপুকুর কলেজ মোড়ে সিপিআই(এম) নেতা তিলক ঘোষের বাড়িতে বোমা বাজি করে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা। বোমাবাজির পাশাপাশি কয়েকটি বোমা ফেলে রেখে যায় দুষ্কৃতিরা। সেগুলি পুলিশ উদ্ধার করে বলে জানা গেছে।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য হুগলীর গোঘাট, খানাকুল ও আরামবাগে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে তৃণমূলী দুষ্কৃতী বাহিনী। হামলা- হুমকি চালিয়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করছে। আক্রমণের মূল নিশানা বামপন্থী প্রার্থীরা।
গোঘাটে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকে বোমাবাজি, বাড়ি ঘেরাও, হাট বাজারে যাওয়া বন্ধ, মিথ্যা মামলা দেওয়া হবে বলে ফোনে হুমকি দিয়ে বামফ্রন্ট প্রার্থীদের মনোনয়ন তোলানোর চেষ্টা করে চলেছে তৃণমূলী বাহিনী। এছাড়া বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় বেশ কয়েকজন প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে মনোনয়ন না তুললে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
তৃণমূলের হুমকি ও হামলা বন্ধ করা এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে সিপিআই( এম) ও ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষ থেকে ভাস্কর রায়, অভয় ঘোষ ও নিরঞ্জন পন্ডিতের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল গোঘাট থানায় স্মারকলিপি জমা দিয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়াও খানাকুলের ঠাকুরাণীচক, রামমোহন ১ খানাকুল ২ পঞ্চায়েত এলাকায় কয়েক জন বামপন্থী প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করাতে তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা হুমকি ও হামলা চালায়। সিপিআই(এম)’র পক্ষ থেকে ভজহরি ভুইয়্যা লিখিতভাবে খানাকুল থানায় সন্ত্রাস বন্ধ করা এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার দাবি জানিয়েছেন।
Comments :0