PRAGUE FIRING KILLED 14

প্রাগের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের গুলিতে নিহত ১৪

আন্তর্জাতিক

বড়দিনের ছুটি পড়ার কথা একদিন পরই। ছুটির আমেজও ছিল ক্যাম্পাসে। তার মধ্যেই প্রাগের বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলি চালালো ছাত্র। প্রাগের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলিচালনায় নিহতের সংখ্যা অন্তত ১৪। চেক প্রজাতন্ত্রের ইতিহাসে এমন গুলিচালনা বিরল। 
প্রাগের চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ভবনে গুলি চালায় ওই ছাত্র। গ্রাগের পুলিশ প্রধান মার্টিন ভনড্রাসেক জানিয়েছেন যে পালটা গুলিতে ওই ছাত্রেরও মৃত্যু হয়েছে। 
পুলিশের বয়ান অনুযায়ী অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন গুলিচালনায়। চেকস্লাভাকিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ভিত রকুসন জানিয়েছেন ঘটনার সঙ্গে কোনও উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর যোগাযোগ মেলেনি। পুলিশের অনুমান, বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলি চালানোর আগে নিজের শহর হসটোনে বাবাকে গুলি করে খুন করে ওই ছাত্র। মনে করা হচ্ছে যে কয়েকদিন আগে প্রাগেই এক ব্যক্তি এবং তাঁর ২ মাসের শিশুকন্যাকে হত্যা করা হয়েছিল। এই ছাত্র সেই খুনেও জড়িত। 
ছাত্রের মৃত্যু নিয়েও সংশয় রয়েছে। পুলিশ পালটা গুলি চালানোর দাবি করলেও প্রতক্ষ্যদর্শীদের একাংশ বলেছে যে ওই ছাত্র নিজেই নিজেকে শেষ করে দিয়েছে। ভনড্রাসেক জানিয়েছেন যে ওই ছাত্রের একাধিক আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ছিল। গুলিও যথেষ্ট সংখ্যায় ছিল তার কাছে। 
চার্লস বিশ্ববিদ্যালয় বিবৃতিতে বলেছে, প্রাণহানির ঘটনা মর্মান্তিক। সমবেদনা জানানো হচ্ছে প্রত্যকের পরিবারকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাড়ানো হবে।’’
জাঁ পালাখ স্কোয়ারের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ভবন। জায়গাটি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের। বড়দিনের সময় এই এলাকায় ভিড় জমে থাকে। গুলিতে হতাহতের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে বিদেশি শক্তির যোগের আশঙ্কাও ছড়ায়। চেক প্রশাসন দাবি করেছে ঘটনার সঙ্গে কোনও বিদেশি শক্তির যোগ মেলেনি। 
স্থানীয় একটি প্রদর্শশালা রুদোলফিনাম গ্যালারির ডিরেক্টর পাভেল নেদোমা। তিনি দেখেছেন গুলিচালনার দৃশ্য। পাভেল বলেছেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বারান্দা থেকে গুলি চালাচ্ছিল আততায়ী। দ্রুত ভবনটি থেকে আটকে পড়া সকলকে উদ্ধারে নামে পুলিশ।’’ 
শনিবার জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছে চেক সরকার।

Comments :0

Login to leave a comment