CITU DURGAPUR

শিল্প রক্ষা, শ্রমিকের অধিকার রক্ষার লড়াই

উত্তর সম্পাদকীয়​

বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী

১৯৭০ সালের ৩০ মে ‘‘ঐক্য সংগ্রাম ঐক্য’’ এ‍‌ই রণধ্বনি দিয়ে শ্রেণি সংগ্রামের পথে অবিচল থাকার আত্মবিশ্বাসে সিআইটিইউ-র পথ চলা শুরু কলকাতা শহরে। ১৯৭১ সালে সংগঠনের প্রথম রাজ্য সম্মেলন অবিভক্ত বর্ধমান জেলার আসানসোলের ‘‘কন্যাপুরে’’ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেদিনও আকাশে মেঘ ছিলদ্বিতীয় যুক্তফ্রন্ট সরকার ভাঙার পর থেকেই শোষক শ্রেণির আক্রমণের কালো মেঘে রাজ্যের আকাশ ঢেকে গিয়েছিল। ১৯৭১ সালের বিধানসভায় একক বৃহত্তম শক্তি হিসাবে সিপিআই (এম) সহযোগীদের নিয়ে আত্মপ্রকাশ করার পরেও তাদের সরকার করতে দেয়নিদিয়েছিল ৫ জন সদস্য নিয়ে জিতে আসা দলকে। এআইটিইউসির সাথে সম্পর্ক ছেদ করে সিআইটিইউতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে তখনই নেমে আসে শ্রমিক শ্রেণির উপর আক্রমণ। শ্রমিক নেতাদের মিথ্যা মামলায় জড়ানো, দৈহিকভাবে আক্রমণ, খুন করা, কাজের জায়গা থেকে উৎখাত করা চলতেই থাকে।

১৯৭০, আগস্ট মাসে এই আক্রমণের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল দুর্গাপুরের শ্রমিকশ্রেণি। কোনও অর্থনৈতিক দাবি নয়ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার চায়চায় মিথ্যা খুনের মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হওয়া নেতাদের মুক্তি। ১২ আগস্ট থে‍‌কে এগারো দিন ষাট হাজার দুর্গাপুরের শ্রমিকরা লাগাতার ধর্মঘটের লড়াই লড়েছিলেন শাসকশ্রেণির বিরুদ্ধে। ২-৪ অক্টোবর সিআইটিইউর প্রথম সর্বভারতীয় ওয়ার্কিং কমিটির জয়পুর (রাজস্থান) সভায় কমরেড মনোরঞ্জন রায় এই আন্দোলন সম্পর্কে এবং রানিগঞ্জ আসানসোল অঞ্চলের দেড়শ কোলিয়ারি মজদুরকে গ্রেপ্তার করে জামিন না দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন। ঐ সভাতেই ১ নভেম্বর, ১৯৭০ গোটা দেশে ‘‘দুর্গাপুর দিবস’’ পালনের সিদ্ধান্ত হয়।

গোটা দেশে দুর্গাপুরের শ্রমিক আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সভা সমাবেশ ও অর্থসংগ্রহ করা হয়। রাজ্য সিআইটিইউর পক্ষ থেকে এই আন্দোলনের উপর একটি পুস্তিকা প্রকাশিত হয়— ‘‘দুর্গাপুরের শ্রমিকদের সংগ্রাম আগামীদিনের দিকদর্শন।’’

এখন যা পশ্চিম বর্ধমান, সেই জেলার শ্রমিক আন্দোলনের সমৃদ্ধ ইতিহাস জেলার আজকের প্রজন্মের শ্রমিক আন্দোলনের কর্মীদের কাছে বড় সম্পদ। স্বাধীনতার আগে রানিগঞ্জের বেঙ্গল পেপার মিলের শ্রমিকদের সংগ্রামে কমরেড সুকুমার ব্যানার্র্জি শহীদের মৃত্যুবরণ এক স্মরণীয় ইতিহাস। পেপার মিল, বার্ন কোম্পানি, কয়লা খাদান, অ্যালুমিনিয়াম সর্বত্র ছড়িয়ে আছে লড়াইয়ের স্মৃতি।

 

চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা, হিন্দুস্থান কেবলস, বার্নপুর, কুলটির শ্রমিকদের সংগ্রামও প্রেরণার আলোকবর্তিকা। এই জেলার বহু আন্দোলনের ঘটনা নাড়া দিয়েছে সর্বভারতীয় এমনকি আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনকেও। ১৯৭৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর অ্যালুমিনিয়াম শিল্প জেকে নগর কারখানার ৭২ জন স্থানীয় শ্রমিককে চার্জশিট দেওয়া হয়। সিআইটিইউর নেতৃত্বে গড়ে ওঠে তার বিরুদ্ধে সংগ্রাম। ১৬ সেপ্টেম্বর কারখানা কর্তৃপক্ষ লক-আউট ঘোষণা করেন। কমরেড জ্যোতি বসু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে শ্রমিকদের দাবি মেনে মালিকরা যাতে কারখানা খুলতে বাধ্য হন সেই দাবি করেন।

১৯৭৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর রানিগঞ্জ, দুর্গাপুর, আসানসোলে শিল্প শ্রমিকদের উপর শাসকদলের গুণ্ডা ও পুলিশের যৌথ আক্রমণের বিরুদ্ধে সিআইটিইউর নেতৃত্ব, সাংসদগণ প্রধানমন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন দেন। রানিগঞ্জের পুলিশি সন্ত্রাসের নিন্দা করে সংহতি জানিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন ইন্টারন্যাশনাল অফ কেমিক্যাল ওয়েল অ্যান্ড অ্যালায়েড ওয়ার্কারসের সাধারণ সম্পাদক সিআইটিইউ রাজ্য কমিটিকে লেখা চিঠিতে বলেন, ‘‘উদ্বেগ ও ক্ষোভের সাথে বেঙ্গল পেপার মিল মজদুর ইউনিয়নের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থার কথা অবগত হলাম। আমাদের পরিপূর্ণ সংহতির কথা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নকে জানাবেন। তাঁদের জানাবেন যে ট্রেড ইউনিয়নের মৌলিক অধিকারের এই ঘোরতর অবমাননার তীব্র নিন্দা জানাই।’’

আধা-ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শ্রমিক শ্রেণির বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বামফ্রন্ট সরকারের প্রতিষ্ঠা আর এই সরকারকে রক্ষা করা। শিল্পকে রক্ষা করা ও গণতন্ত্রকে সর্বনিম্ন স্তর পর্যন্ত প্রসারিত করার গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামে এই জেলার শ্রমিক শ্রেণি অনন্য ভূমিকা পালন করেছে।

১৯৭৮ সালে শতাব্দীর সবথেকে ভয়ঙ্কর বন্যা হয় বাংলায়। অবিভক্ত বর্ধমান জেলার ব্যাপক ক্ষতি হয়। ত্রাণ ও পুনর্বাসনে শ্রমিকরা অনন্য ভূমিকা পালন করে। বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই এই সরকারের বিরুদ্ধে শাসক ও শোষক শ্রেণির সম্মিলিত চক্রান্ত শুরু হয়। শিল্প রক্ষা, নতুন শিল্প স্থাপন, শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সংগ্রাম প্রসারিত করার প্রতিটি ক্ষেত্রে শ্রমিকশ্রেণিকে লড়াই করতে হয়েছে। সোভিয়েত সহ পূর্ব ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিলুপ্তির পর গোটা বিশ্বজুড়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দাপাদাপি বাড়ে। ‘‘একক বিশ্ব’’ ব্যবস্থা কায়েমের নামে নয়া অর্থনৈতিক নীতি উন্নয়নকামী দেশগুলির উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। বিশ্ব ব্যাঙ্ক, আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার, ডাঙ্কেল প্রস্তাব, ডব্লিউটিও ভারতবর্ষের মতো দেশকে কৃষি ও শিল্পের ক্ষেত্রে মাৎস্যন্যায়ের পরিবেশের মধ্যে ফেলে। গোটা দেশজুড়েই শুরু হয় প্রতিবাদ আন্দোলন, সেই লড়াইতে আমাদের জেলারও শ্রমিকশ্রেণি যোগ্য ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প রক্ষার লড়াই,  দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আধুনিকীকরণের লড়াই, বার্নপুর ইস্কো কারখানার পুনরুজ্জীবনের লড়াই আজও অনুপ্রেরণার উৎস স্থল।

এগারোটি ট্রেড ইউনিয়নের ২০ ডিসেম্বর, ১৯৯৩ নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে যুক্ত কনভেনশনে গৃহীত দশটি দাবি নিয়ে প্রচার আন্দোলন শুরু হয়। ১৪ মার্চ, ১৯৯৪ গোটা রাজ্যে জাঠা মিছিল শুরু হয়ে শেষ হয় ২৫ মার্চ বার্নপুর বারি ময়দানে কমরেড রবীন সেনের সভাপতিত্বে ঐতিহাসিক বিশাল সমাবেশের মাধ্যমে।

রাষ্ট্রায়ত্ত ‍‌শিল্পকে রক্ষা করতে হবে, কেন্দ্রীয় নীতির পরিবর্তন করতে হবে, রক্ষা করতে হবে দুর্গাপুর আসানসোলের শিল্পাঞ্চল। এই লড়াইয়ের মধ্যেই ১৯৯৬ সালের ২-৫ ফেব্রুয়ারি দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হয় সিআইটিইউর ষষ্ঠ রাজ্য সম্মেলন। ৫ ফেব্রুয়ারি চিত্রালয় মেলা ময়দানে সুবিশাল সমা‍বেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ষষ্ঠ রাজ্য সম্মেলন। এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কমরেড জ্যোতি বসু সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। বামফ্রন্ট সরকারের ঘোষিত শিল্প সম্পর্কিত নীতির সফল রূপায়ণ হয় মাইথন থেকে কাঁকসা অবধি বহু নতুন শিল্প স্থাপনের মধ্য দিয়ে। অনেকগুলি শিল্পাঞ্চল গড়ে ওঠে, দুর্গাপুর আসানসোলে গড়ে ওঠে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনেকগুলি উন্নতমানের হাসপাতাল তৈরি হয়। এই সময়ে দুর্গাপুর আসানসোলে উন্নত নগরায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু প্রকল্পের রূপায়ণ যা কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে। বামফ্রন্ট সরকারের উপস্থিতিগত কারণে এবং দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শ্রমিকদের লড়াইয়ের ফলে কারখানার আধুনিকীকরণ হয়েছে। বামপন্থী সাংসদদের নিরলস প্রচেষ্টায় নতুন কলেবরে ইস্কো রক্ষা পেয়েছে। কিন্তু আমরা হারিয়েছি হিন্দুস্থান কেবলস, সেন র‌্যালে, আসানসোল কাচ কারখানা, জেকে অ্যালুমিনিয়াম, এমএএমসি, এইচএফসি, বিওজিএল, আরআইসি সহ বহু সরকারি বেসরকারি শিল্প।

এই সমস্ত শিল্পে কর্মরত শ্রমিকরা অনেকেই বেঁচে আছেন, বসবাস করেন ঐ শিল্প নগরীতে বা আশেপাশের এলাকায় একবুক যন্ত্রণা নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর সময় সবচেয়ে বেশি শিল্প বন্ধ হয়েছে। যে সরকারের মন্ত্রী ছিলেন আমাদের রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। আজও কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশে বন্ধ সার কারখানা খুলছে অথচ দুর্গাপুরের সার কারখানা খুলতে চাইছে না। এনডিএ সরকার এমএএমসি বন্ধ করেছিল, কিন্তু রাজ্যের বাম সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের উদ্যোগে ইউপিএ সরকারের অনুমোদনে তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এমএএমসি খোলার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছিল। ২০১১ সালে পরিবর্তনের পর রাজ্য সরকারের উদ্যোগহীনতা আর বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের অনীহা বলা যায় এই উদ্যোগকে কবর দিয়েছে। সেন র‌্যালে সাইকেল কারখানা বন্ধ আর সবুজ সাথীর নামে সাইকেল কেনা হচ্ছে, সদিচ্ছা থাকলে ওখানেই এই সাইকেল তৈরি হতে পারতো, সুযোগ হতো কর্মসংস্থানের।

দুর্গাপুরের মিশ্র ইস্পাত কারখানা সহ সারা দেশে তিনটি ইস্পাত কারখানা বন্ধ করে দেবার তালিকার মধ্যেই আছে। ২০১৫-২০১৬ সাল থেকে সিআইটিইউর উদ্যোগে দুর্গাপুরের শ্রমিকশ্রেণির লাগাতার আন্দোলনের ফলে কারখানাটি আজও খোলা থাকলেও বন্ধ করে দেওয়ার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত প্রত্যাহৃত হয়নি। আমরা চাই মিশ্র ইস্পাত কারখানার অগ্রবর্তী সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আধুনিকীকরণ হলেও সম্প্রসারণ ও উৎপাদন বৃদ্ধির ব্যবস্থাপনা আজও হয়নি। অবিলম্বে এই জেলার শিল্প বিকাশের স্বার্থে দুর্গাপুর ইস্পাত ও মিশ্র ইস্পাতের সম্প্রসারণ খুবই জরুরি।

রাজ্য সরকারও শিল্পের প্রশ্নে একই পথের পথিক। ইতিমধ্যে দুর্গাপুরে ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ডিপিএলর বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। ২০১৫ সালে কোক ওভেন প্ল্যান্ট বন্ধ করে দিয়েছে, কাটিং করে বেচেও দিয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন আছে কিন্তু সংবহন ও বিতরণ রাজ্য সরকারের দুটি সংস্থাকে দিয়ে দিয়েছে। এখন বলছেন জমি বিক্রি করবে। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি ডিপিএলর কর্মরত স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকা শ্রমিকরা। নজিরবিহীনভাবে ডিপিএলর স্থায়ী শ্রমিকদের সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। ২০১১ সালের আগে শ্রমিকদের এইরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে তা ভাবনাতেই আসতো না। দুর্গাপুর কেমিক্যালস রাজ্য সরকারের বোধহীন দিশায় ধ্বংস হচ্ছে, বামফ্রন্ট সরকারের সময়ের পূর্ণ জীবিত একটি রসায়ন শিল্প।

পশ্চিম বর্ধমান জেলা একটি শিল্প নির্ভর জেলা। ধারাবাহিকভাবে আক্রান্ত শিল্পক্ষেত্র। কয়লা শিল্প, ইস্পাত শিল্প সহ সর্বত্রই আক্রমণের কালো ছায়া। প্রতিদিনই সঙ্কুচিত হচ্ছে কাজের সুযোগ। পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট সরকারের শিল্প সম্পর্কিত নীতির ফলে যে নতুন শিল্প ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি স্থাপিত হয়েছিল তাও আজ সমস্যায় জর্জরিত কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নীতি এবং অরাজক পরিস্থিতির কারণে। তাই এ‍‌ই প্রজন্মের শ্রমজীবী মানুষকেই রক্ষা করতে হবে এই শিল্প ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে। জাত, ধর্ম, বর্ণের ভিত্তিতে মানুষকে বিভাজিত করার চেষ্টাকে রুখে দিতে হবে, কাজ, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের দাবির আন্দোলনের স্রোতধারায়। শ্রমজীবীরাই পারবে পথ রক্ত পিচ্ছিল হলেও এই জেলায় তার দৃপ্ত পথচলা অব্যাহত রাখতে। 

সিআইটিইউ পশ্চিম বর্ধমান জেলা একাদশ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ৭-৮ অক্টোবর দুর্গাপুরের বেনাচিতি এলাকায়। সম্মেলন উপলক্ষে বেনাচিতি ‘‘আনন্দধারা’’ নামকরণ হয়েছে প্রয়াত কমরেড কিশোর ঘটক ও কমরেড অলোক ঘোষের স্মৃতিতে। সিআইটিইউর জেলা সম্মেলন একটি সাংগঠনিক প্রক্রিয়া যা নিয়মিত নির্দিষ্ট সময় অন্তরই অনুষ্ঠিত হয়। পশ্চিম বর্ধমান জেলার এই সম্মেলন তার অতীত সংগ্রামের ঐতিহ্যের আলোকে বর্তমান সময়ের প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে ভবিষ্যতে এই জেলার মূল আর্থিক ভিত্তি শিল্প আর শিল্পের শ্রমিকদের জীবনযাত্রার আর্থিক কর্মকাণ্ডের নতুন প্রাণ সঞ্চারের দিশার সন্ধান করবে।

Comments :0

Login to leave a comment