প্রগতিশীল সাহিত্যচর্চার অগ্রণী সৈনিক ও জনপ্রিয় কথাকার বারিদবরণ চক্রবর্ত্তী বুধবার ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। জীবনাবসানের সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১। তাঁর স্ত্রী, এক পুত্র ও এক পৌত্র বর্তমান।
বারিদবরণ চক্রবর্তীর জন্ম ৩ জানুয়ারি ১৯৪৪ সালে কলকাতার বরানগরে। কর্মজীবনে তিনি বরানগর বিকেসি কলেজের অধ্যাপক ও রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের অধ্যাপক ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকে বারিদবরণ চক্রবর্তী তৎকালীন বঙ্গীয় প্রাদেশিক ছাত্র ফেডারেশনের সংস্পর্শে আসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় হয়ে ওঠেন।
ওই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর সহপাঠীদের মধ্যে ছিলেন অনিল বিশ্বাস, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রমুখ। ১৯৮০-র দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি কলকাতা জেলায় সিপিআই(এম)-র সদস্যপদ অর্জন করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি নন্দন পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অসুস্থতার কারণে বিগত কয়েকবছর তিনি সদস্যপদ থেকে অব্যহতি নিয়েছিলেন।
গত শতাব্দীর সত্তরের দশকের মাঝামাঝি থেকে বারিদবরণ চক্রবর্তী তাঁর লেখা গল্পের জন্য পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ওই সময়ে লেখা তাঁর গল্প “কোলাঘাটের ইলিশ” উচ্চ প্রশংসিত হয়েছিল। “বাংলা কথাসাহিত্যে বিহারের লোকজীবন” তাঁর একটি উল্লেখযোগ্য গবেষণামূলক কাজ। এছাড়া, তঁর প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে আছে, আগুনের পাখি (গল্পল্গ্রন্থ) এবং উপন্যাস ”কালাহান্ডি কভারেজ” ও “ঊর্বী”।
পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘের পক্ষে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান সাধারণ সম্পাদক রজত ব্যানার্জি, সহ-সভাপতি অরিন্দম চ্যাটার্জি এবং কলকাতা জেলা কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক কমল আইচ।
বুধবারই নিমতলা শ্মশানে প্রয়াত সাহিত্যিকের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
Baridbaran Chakrabarty
সাহিত্যিক বারিদবরণ চক্রবর্তীর জীবনাবসান
×
Comments :0