কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর নাম দু’তিন দিনের মধ্যে স্পষ্ট করা হবে বলে জানালো কংগ্রেস। সেই সঙ্গে বিজেপি’র ‘ভুয়ো খবর তৈরির কারখানার’ ফাঁদে পা না দেওয়ার আবেদনও জানালেন দলের অন্যতম নেতা রণদীপ সিং সূরযেওয়ালা।
বুধবারও কর্নাটকের প্রদেশ সভাপতি ডিকে শিবকুমার এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। কংগ্রেস সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার সদস্যসদের নাম নিয়ে চূড়ান্ত সহমত তৈরি হয়নি।
দলের প্রচার বিভাগের প্রধান সূরযেওয়ালা বিবৃতিতে দাবি করেছেন যে আটচল্লিশ থেকে বাহাত্তর ঘন্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘দয়া করে কেউ বিজেপি’র ভুয়ো খবর তৈরির কারখানার ফাঁদে পা দেবেন না।’’
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে শিবকুমার এবং সিদ্দারামাইয়ার দ্বন্দ্ব নিয়ে খবর হয়েই চলেছে গত তিনদিন। কংগ্রেসও মানছে যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে দড়ি টানাটানি রয়েছে। তবে যতটা তীব্র বলে সংবাদমাধ্যমের একাংশে দেখানো হচ্ছে ততটা নয়। দলেরই একাংশ এর মধ্যে রটিয়ে দেয় যে সিদ্দারামাইয়ার নাম চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তবে রাকি করানো যাচ্ছে না শিবকুমারকে। প্রদেশ সভাপতিকে দলের পদে রেখেই উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও খবর রটেছে।
সূরযেওয়ালা বলেছেন, ‘‘দলের নেতারা সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করবেন না। আলটপকা মন্তব্যের জন্য দল বিপাকে পড়লে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ সেই সঙ্গে তিনি মনে করিয়েছেন যে আসাম, গোয়া বা উত্তর প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করতে বিজেপি’র ৭-১০ দিন সময় লেগেছিল।
গত ১৩ মে কর্নাটকের ফল ঘোষণা হয়েছে। নজির গড়ে ২২৪ আসনের বিধানসভায় ১৩৫ আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। সূরযেওয়ালা বলেছেন, ‘‘আলোচনা, বার্তালাপ এবং ঐকমত্য- গণতন্ত্রের এই পরম্পরা মেনেই চলছেন সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে।’’
জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে বলেছেন, ‘‘ভোটের ফলের ১১ দিন বাদে মন্ত্রিসভা তৈরি হয়েছিল আসামে, মহারাষ্ট্রে ১ মাস সময় লেগেছিল। মিডিয়া সব জেনেও কর্নাটকে দেরি নিয়ে অস্থির হচ্ছে। আসলে সংবাদমাধ্যম আড়াল করতে চাইছে যে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি পরাজিত হয়েছে কর্নাটকে। মোদীর ব্যর্থতা পর্দার আড়ালে লুকাতে চাইছে।’’
Comments :0