BUDGET SUJAN CHAKRABORTY

ভুল তথ্যে ভরা হাস্যকর বাজেট: সুজন চক্রবর্তী

রাজ্য

BUDGET SUJAN CHAKRABORTY ফাইল ছবি।

ঋণের অঙ্ক প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছাচ্ছে। এগারো বছর আগে ছিল ১ কোটি ৯৩ হাজার টাকা। 

লেদার কমপ্লেক্সে সরকার বলছে ৩ লক্ষ কাজ করে। আরও ২ লক্ষের কাজ হবে। ২০১৯’র বাজেটে বলা হয়েছিল এই লেদার কমপ্লেক্সেই কাজ করে ৫ লক্ষ। বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে তৈরি হয়েছিল এই চর্মশিল্প তালুক। 

দেউচা পাচামীতে বলছে দেড় লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। কবে কয়লা উঠবে কেউ জানে না। তা করা হলে আগেই বহু লোক জীবিকা হারাবেন। সেই প্রকল্প দেখাচ্ছেন কর্মমুখী দাবি করে। 

পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাজেটে এমন প্রতিশ্রুতি আর ঘোষণায় কড়া প্রশ্ন তুললেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। বুধবার তাঁর মন্তব্য, ‘‘ভুল তথ্য দিয়ে হাস্যকর বাজেট পেশ করেছে রাজ্য। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের মতো কৌশল নিয়েছে। মানুষকে খুশি করার ভাব দেখানো হলেও আসলে বিপদ ডেকে আনা হলো।’’ 

তাঁর ক্ষোভ, সরকারি কর্মচারীদের ফের অপমান করলেন মুখ্যমন্ত্রী। লিখিত ভাষণে ছিল না, চিরকুট দিয়ে ৩ শতাংশ ডিএ’র ঘোষণা করেছেন। চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘বকেয়া ছিল ৩৫ শতাংশ। ৩ শতাংশ দিলেও বকেয়া হবে ৩২ শতাংশ। মার্চেই ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করবে কেন্দ্র। বকেয়া ফের ৩৬ শতাংশে পৌঁছাবে।’’   

অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বাজেট ভাষণের পরই দ্রুত বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা ব্যানার্জি বিধানসভায় বলেছেন, এই বাজেট কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে। 

মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলেছেন চক্রবর্তী। লেদার কমপ্লেক্সের উদাহরণ দিয়ে চক্রবর্তী বলছেন, তিন বছরের মধ্যে কর্মরতদের সংখ্যা কমিয়ে বাড়িয়ে দেখাচ্ছেন। গাদাগুচ্ছের ভুল তথ্য পেশ করা হয়েছে।’’ গ্রামের রাস্তা তৈরির প্রকল্প নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এই নেতা।   

সরকারি কর্মচারীদের ৩ শতাংশ মহার্ঘভাতা ঘোষণা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন চক্রবর্তী। 

বাজেটে এবার ‘রাস্তাশ্রী’ প্রকল্পের ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা হয়েছে। এর আগে ‘পথশ্রী’ প্রকল্প ছিল। আবার কেন্দ্রেরও প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা আছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিজেদের নামে চালানোয় বিপাকে পড়তে হয়েছে সরকারকে। 

চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘পথশ্রী’ প্রকল্প থমকে গিয়েছে। নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। নাম বদল করা হয়েছে। ঠিকাদারদের পাওনা মেটাতে পারছে না সরকার। মোটা টাকা তোলা দিয়ে কাজ করতে রাজি হচ্ছে না ঠিকাদাররা। নতুন প্রকল্প ঘোষণায় লাভ হবে না গ্রামের মানুষের। 

‘দুয়ারে সরকার’-র ৩ লক্ষ ৭১ হাজার শিবির হয়েছে বলে দাবি বাজেটে। গ্রাম পঞ্চায়েত সারা রাজ্যে ৩০০০। শুধু গ্রাম ধরলে প্রতি পঞ্চায়েত ১০০টি শিবির করতে হয়। এই তথ্য ভুল এবং হাস্যকর, বলেছেন চক্রবর্তী।  

Comments :0

Login to leave a comment