নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বৃহৎ আকারের আর্থিক তছরুপের রাস্তা খুলে দিয়েছিল বিজেপি। নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থার সাহায্যে শেল কোম্পানিগুলির মাধ্যমে নির্বাচনী বন্ড কেনা হত, এবং কালো টাকা সাদা করা হত। ‘দ্যা হিন্দু’ পত্রিকার একটি তদন্তধর্মী প্রতিবেদন শেয়ার করে এক্স অ্যাকাউন্টে এমনটাই লিখলেন সিপিআই(এম)’র সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
সংবাদপত্রটির প্রতিবেদনের উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ২০২৩ আর্থিক বছরে মোট অনুদানের তিন চতুর্থাংশ এবং ২০২৪ আর্থিক বছরে মোট অনুদানের দুই তৃতীয়াংশ অনুদান পেয়েছে বিজেপি। অধিকাংশ কোম্পানি নিজেদের আয়ের কয়েকগুণ বেশি টাকার বন্ড কিনেছে। এটা মোদী সরকারের মেগা দুর্নীতি।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের কোম্পানি আইনের ১৮২(আই) ধারা অনুযায়ী, কোনও সংস্থা বিগত ৩টি আর্থিক বছরের মোট লাভের ৭.৫ শতাংশের বেশি টাকা কোনও রাজনৈতিক দলকে অনুদান হিসেবে দিতে পারবে না। ২০১৭ সালের ফাইন্যান্স আইনের মাধ্যমে সেই ঊর্ধসীমা তুলে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরেই নিয়ে আসা হয় নির্বাচনী বন্ড।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট ৫৫টি সংস্থার হদিস মিলেছে, যারা ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে নিজেদের লাভের থেকেও বেশি পরিমাণ অর্থ নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদান দিয়েছে। সংস্থাগুলির মোট অনুদানের পরিমাণ ১৯৯৩ কোটি টাকা, এবং তার ৬৯ শতাংশ বা ১৩৭৭.৯ কোটি টাকা হল ৭.৫ শতাংশ ঊর্ধসীমার বেশি। এই অনুদানের ৭১ শতাংশ বিজেপি একাই পেয়েছে।
২০২৩-২৪ সালে ৩৩টি এমন সংস্থার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, যারা ১২২৫.৭ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে। এই অনুদানেরও সিংহভাগ, ৭৬.২ শতাংশ বা ৯৩৩.৮ কোটি টাকা ছিল ৭.৫ শতাংশের ঊর্ধসীমার উপরে। এই ১২২৫.৭ কোটি টাকার ৬৭ শতাংশ বা ৮২৯.৫ কোটি টাকা ঢুকেছে বিজেপির ভান্ডারে।
২০২২-২৩ আর্থিক বছরে ৭.৫ শতাংশের ঊর্ধসীমার বেশি টাকা অনুদান দিয়েছে ২৮টি কোম্পানি। সংস্থাগুলির মোট অনুদানের পরিমাণ ৭৬৭.৩ কোটি টাকা, তারমধ্যে ৫৭.৮ শতাংশ বা ৪৪৪.১ কোটি টাকা উর্ধসীমার বেশি। এই ৭৬৭.৩ কোটি টাকার ৭৬.২ শতাংশ বা ৫৮৫.৩ কোটি গিয়েছে বিজেপির পকেটে।
Comments :0