SILIGURI CPIM COUNCILLOR PRESS MEET

অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পূর্ণ পুর্নবাসনের দাবি

রাজ্য

SILIGURI CPIM COUNCILLOR PRESS MEET

সরকারের দেওয়া ৩৫ হাজার টাকায় বাড়ি হবে না। বাড়ি বানানোর জন্য পূর্নাঙ্গ আর্থিক অনুদান দেবার ব্যবস্থা সরকার ও কর্পোরেশনকেই করতে হবে। শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষুদিরাম কলেনিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পূর্ন পুর্নবাসনের দাবি জানালেন সিপিআই(এম) কাউন্সিলাররা। পুর্নবাসনের দাবি নিয়ে সোমবার মেয়রের সাথে দেখা করতে গিয়ে মেয়রের দেখা পেলেন না তারা। মেয়রের দেখা না মেলায় কর্পোরেশনের কমিশনারের সাথে তাদের কথা হয়েছে। এদিন দুপুরে কর্পোরেশনে এক সাংবাদিক বৈঠকে সিপিআই(এম) কাউন্সিলার মুন্সী নুরুল ইসলাম জানান, শুরু থেকেই আমরা ঘটনাস্থলে থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সাধ্য অনুযায়ী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। আগামীদিনেও পাশে থাকবো। 
গত ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যের পর আগুনে শিলিগুড়ির ক্ষুদিরাম কলোনি বস্তি এলাকাতে প্রায় ৫৫টি বাড়ি সম্পূর্নভাবে ভষ্মীভূত হয়ে যায়। সেই পরিস্থিতিতে আগুন নেভানোর জন্য আরোও পাঁচ থেকে সাতটি বাড়ি ভাঙতে হয়। দমকলের ইঞ্জিন দেরিতে পৌঁছানোয় এলাকার সাধারণ মানুষদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গরিব মানুষ তাদের সবকিছু হারিয়ে সর্বশান্ত অবস্থায় রাস্তায় বসেছেন। প্রথম রাতে ক্ষতিগ্রস্তরা খোলা আকাশের নীচেই রাত কাটিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির মধ্যে প্রায় শতাধিক শিশুও রয়েছে। যদিও এই সমস্ত সর্বশান্ত মানুষদের পাশে সাহায্যের হাত বাড়ি দিয়েছেন শহরের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ব্যবসায়ী সংগঠন। ইতোমধ্যেই নুরুল ইসলাম সহ জয় চক্রবর্তী, মৌসুমী হাজরা ও দীপ্ত কর্মকার শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনের চারজন বাম কাউন্সিলাররা উদ্যোগী হয়েছেন। এলাকার শিশুদের জন্য শিশুখাদ্য সরবরাহের উদ্যোগ নেবার পাশাপাশি সিপিআই(এম) কাউন্সিলাররা ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, শীতবস্ত্র তুলে দিয়েছেন। 
মুন্সী নুরুল ইসলাম বলেন, এভাবে বেশী দিন চলতে পারে না। সরকারি আর্থিক সহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের অবিলম্বে স্থায়ী পাকা বাড়ি তৈরী করে দিতে হবে। এছাড়াও রেলের অব্যবহৃত জমি গরীব মানুষদের নামে করে দিলে তাদের জন্য হাউজিং ফর অল বা বাংলার বাড়ির সুবিধা পাওয়া যেতে পারতো। এই সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে রেলের সাথে কথা বলে অসহায় মানুষদের জন্য পূর্নাঙ্গ পাট্টা প্রদানের ব্যবস্থার দাবি জানান তিনি। বলেন, এলাকায় রয়েছে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরাও। আগুনে তাদের বইপত্র, প্রয়োজনীয় নথি, অ্যাডমিট কার্ড সব কিছু পুড়ে ছাই হয়েছে। যতোদিন পর্যন্ত এদের স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এদের খাওয়া দাওয়া, শীতবস্ত্র দেওয়া, স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বইপত্র, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক টেস্ট পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড ও সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করা, ঘিঞ্জি বস্তি কলোনি এলাকাতে গুদামে যাতে দাহ্য পদার্থ মজুত করে রাখা না হয় সেবিষয়ে কর্পোরেশনের তরফে নজরদারি রাখা, পুড়ে যাওয়া ভোটার, আধার, প্যান, রেশন কার্ড স্পেশাল ক্যাম্পের মধ্য দিয়ে পুনরুদ্ধার করে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে দ্রুততার সাথে ফিরিয়ে দেবার যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
 

Comments :0

Login to leave a comment