ELECTORAL BOND EC

নির্বাচনী বন্ডে টাকা কার থেকে কত জানাবে, বলল কমিশন

জাতীয়

কোন রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কে কত টাকা দিয়েছে বিশদে প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। শনিবার ভূবনেশ্বরে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন। 
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চললে নির্বাচনী বন্ডে কোন দলকে কোন কর্পোরেট বা ব্যবসায়িক সংস্থা কত অর্থ দিয়ে তা প্রকাশ হয়ে যাবে। স্টেট ব্যাঙ্কের থেকে তথ্য পেয়ে ১৩ মার্চের মধ্যে কমিশনকে এই তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিজেপি সরকার এই বন্ড চালু হওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনী তহবিলে কোন কর্পোরেট কত টাকা দিয়েছে সেই তথ্যের প্রকাশ বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৯ সালে নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টে এই অস্বচ্ছতার বিরোধিতা করলেও পরে নীরব হয়ে যায়। 
গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্বাচনী বন্ড বাতিল করে। সিপিআই(এম), অ্যসোসিয়েশন অব ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস একযোগে এই বন্ড বাতিলের আবেদন জানিয়েছিল শীর্ষ আদালতে। 
শনিবার ভুবনেশ্বরে প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন। লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে হয়েছে বৈঠক। 
রাজীব কুমার বলেছেন, ‘‘কমিশন বরাবর স্বচ্ছতার পক্ষ নিয়েছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সারা দেশে তোলপাড় পড়লেও নির্বাচন কমিশনই চুপ ছিল দু’দিন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে যে স্টেট ব্যাঙ্ককে নির্বাচনী বন্ডের সব তথ্য নির্বাচনকমিশনকে দিতে হবে। স্টেট ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই দফায় দফায় নির্বাচনী বন্ড ছাড়া হয়েছে। নির্দিষ্ট দলের নামে বন্ড কিনলে অর্থ জমা হয়েছে দলের কোষাগারে। একা বিজেপি-ই পেয়েছে ৫৭ শতাংশ অর্থ। এক রাজ্যে সরকার চালিয়ে বন্ডের মাধ্যমে আয়ে দেশে তিন নম্বরে উঠে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার মধ্যে এক বছরেই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ৫০০ কোটি টাকা আয়ের তথ্য দিয়েছে তৃণমূল। 
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কোন দলের পক্ষে কে কত টাকার বন্ড কিনেছে তিন সপ্তাহের মধ্যে দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। ১৩ মার্চের মধ্যে কমিশন ওয়েবসাইটে তথ্য বিশদে প্রকাশ করবে।
নীতিগত অবস্থানের কারণে নির্বাচনী বন্ডে কোনও অর্থ নেয়নি সিপিআই(এম)।

Comments :0

Login to leave a comment