Baruipur Attack Protest

বারুইপুরে প্রতিবাদ মিছিল, সিপিআই(এম) দপ্তরে হুজ্জুতির প্রতিবাদে কাল বিক্ষোভ

রাজ্য জেলা

বারুইপুরে প্রতিবাদ মিছিলে রতন বাগচী, কান্তি গাঙ্গুলি, সুজন চক্রবর্তী, তুষার ঘোষ, রাহুল ঘোষ সহ নেতৃবৃন্দ। ছবি: অনিল কুণ্ডু

সিপিআই(এম) জেলা দপ্তরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলা, বিশৃঙ্খলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জুড়ে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ কর্মসুচির ডাক দেওয়া হয়েছে। সোমবার সিপিআই(এম) জেলা দপ্তরে ঢুকে পড়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী। পার্টিকর্মীরা রুখে দাঁড়ানোয় সরে যায়। তবে তৃণমূলের স্বৈরাচারী চেহারা ফের স্পষ্ট হয়েছে এই হুজ্জুতিতে।  
সিপিআই(এম) দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক রতন বাগচী জেলা দপ্তরে তৃণমূলী দুস্কৃতীদের হামলার ঘটনায় পুলিশি তদন্ত, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেছেন, এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার জেলা জুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসুচি নেওয়া হয়েছে।
এদিন বিকালে সিপিআই(এম) দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির আহ্বানে বারুইপুরে প্রতিবাদ মিছিল হয়। মিছিল শেষে বারুইপুর থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসুচি হয়। মিছিলে সামনের সারিতে ছিলেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, পার্টির জেলা সম্পাদক রতন বাগচী, পার্টি নেতা রাহুল ঘোষ, তুষার ঘোষ, কান্তি গাঙ্গুলি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। তৃণমূলী দুষ্কৃতীদের হামলায় আক্রান্ত হয়েছেন সিপিআই(এম) কর্মী শামিম মিস্ত্রী। 
এই ঘটনায় বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বারুইপুর থানার সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সভায় রতন বাগচী পুলিশের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বারুইপুর থানা অবরুদ্ধ করা হবে। ব্যাপক জমায়েত করে প্রয়োজনে থানার সামনে লাগাতার আন্দোলন কর্মসুচি চলবে। 
যাদবপু্রের ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গ্রেপ্তার দাবি করায় বারুইপুরে সিপিআই(এম) দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা দপ্তরের সামনে হামলা, বিশৃঙ্খলা চালালো তৃণমূলীরা। সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ব্যানার নিয়ে কতিপয় তৃণমূলী দুষ্কৃতী জেলা দপ্তর চত্বরে ঢুকে শ্লোগান দেয়। দপ্তরের গেটে তারা তালা ঝুলিয়ে দেয়। দুষ্কৃতীরা দোতলায় দপ্তরে ঢোকার চেষ্টা করলে পার্টি নেতৃত্ব ও কর্মীদের প্রতিরোধে পিছু হটতে বাধ্য হয়। সদর দরজায় তৃণমূলীদের ঝোলানো তালা ভেঙে দেওয়া হয়। 
সিপিআই(এম) কর্মী এবং হরিহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য শামিম মিস্ত্রী প্রতিবাদ করায় তাঁর উপর হামলা করে ওই দুষ্কৃতীরা। বারুইপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। 
সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, সিপিআই(এম) দপ্তর কোনও তোলাবাজের পয়সায় তৈরি হয়নি। ব্রাত্য বসু ছাত্রদের উপর গাড়ি চালিয়ে দিয়েছে। ভয়ঙ্কর অপরাধ করেছে। যাদের মুখ লুকাবার কথা তারা মুখ না লুকিয়ে আবার অসভ্যতা করছে। ধরা পড়ে গেছে। বিজেপি’র সাহায্য নিয়েও বাঁচতে পারবে না। 
এদিন পার্টির জেলা দপ্তরে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ও ব্রাত্য বসুর গ্রেপ্তারির দাবিতে সোনারপুর, মহামায়াতলা, বিষ্ণুপুরের আমতলা, কুলতলির জামতলাসহ বিভিন্ন জায়গায় সিপিআই(এম)’র মিছিল হয়।

Comments :0

Login to leave a comment