Blast Duttapukur

বোমা তৈরি হতো! দত্তপুকুরে বিক্ষোভের মুখে পুলিশ

রাজ্য

Blast Duttapukur


বাজি কারখানার আড়ালে বোমা তৈরি হতো। সেই এগরার মতো অভিযোগ স্থানীয় মানুষের। দত্তপুকুরেও পুলিশকে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। নামানো হয়েছে বিশেয বাহিনী র্যা ফ।
উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে। বেশ কয়েক জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে শিশু ও মহিলারা। রবিবার সকাল ১০ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ইছাপুর নিলগঞ্জ পঞ্চায়েতের মোছপুল এলাকার পশ্চিম পাড়ায় ঘনবসতি এলাকায়। বেআইনি বাজি কারখানা বিস্ফোরণে এদিন স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে পুলিশকে। স্থানীয়দের অভিযোগ তৃণমূল ও প্রশাসনের মদতেই এই বাজি কারখানা চলছিল। তাদের দাবি, বারবার পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। আপত্তি জানালে বাসিন্দাদেরই পালটা হুমকির মুখে পড়তে হতো।  বাজি কারখানার আড়ালে বোমা তৈরি হতো এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় মানুষের। বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এলাকা সূত্রে। যদিও পুলিশ জানাচ্ছে মৃতের সংখ্যা ৩। স্থানীয়দের জানাচ্ছে দেহ লোপাট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। জানা গেছে বিস্ফোরণে আহত ও নিহতের মধ্যে বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন। সূত্রের খবর, স্থানীয় তৃণমূলের মদতপুষ্ট এক দুষ্কৃতী বিস্ফোরণে আহত হয়ে ভর্তি হাসপাতালে। তার পা জখম হয়েছে। এলাকায় এই দুষ্কৃতী ক্ষুদে নামে পরিচিত। তার বাড়িতেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে  বাড়তে পারে সংখ্যা। কারণ মোছপুল ঘন জনবসতির এলাকা। 


গত মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বিস্ফোরণে দশ জনের বেশি প্রাণ হারান। আরও বহু বিস্ফোরণ হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন বাজি কারখানায়। নতুন যোগ হলো দত্তপুকুর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাজি কারখানাটি অবৈধ ভাবে চলছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অন্তত ৭ থেকে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণে বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে উঠে এসেছে। জখম হয়েছেন ২০ জনের বেশি মানুষ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের তীব্রতায় বাড়িটি সম্পূর্ণ ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে দগ্ধ দেহ। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ১০ থেকে ১২ টি বাড়ি পুরো ভেঙে উড়ে যায়। এলাকার মানুষের অভিযোগ এই বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে প্রশাসনকে দীর্ঘদিন জানানো হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেয়নি। তাদের অভিযোগ দত্তপুকুর থানার আইসি’র নেতৃত্বে এই অবৈধ বাজি কারখানা দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। 
স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশ ও রাজ্যের মন্ত্রীরা এই বিষয়ে সব জানতেন। চোখ বুঁজে ছিল প্রশাসন। স্থানীয়রা আপত্তি জানালে তাঁদেরই হুমকির মুখে পড়তে হতো। গুরুতর জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন তাদের বারাসাত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। নামানো হয়েছে র‌্যাফ।

Comments :0

Login to leave a comment