দিল্লি পুলিশের বাধা ভেঙে প্রতিবাদী পদকজয়ীদের পাশে দাঁড়ালেন কৃষকরা। রবিবার কৃষকদের মিছিলে নজরকাড়া অংশগ্রহণ ছিল মহিলাদের। মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্তার প্রতিবাদে এর আগেই দেশজুড়ে সরব হয়েছে সারা ভারত কৃষক সভা। সরব হয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চার বিভিন্ন অংশও।
রবিবার পাঞ্জাব, হরিয়ানা, পশ্চিম উত্তর প্রদেশ থেকে কৃষকরা রওনা দেন প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের অবস্থানে। দিল্লির যন্তর মন্তর অভিমুখে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নিয়ন্ত্রিত দিল্লি পুলিশ কড়া বেষ্টনী তৈরি করে টিকরি সীমানা এলাকায়। কৃষক নেতাদের একাংশ জানিয়েছেন, ব্যারিকেড ভেঙেই মিছিল পৌঁছেছে যন্তর মন্তরে।
জাতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি এবং বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের শাস্তির দাবিতে ২৩ এপ্রিল থেকে লাগাতার অবস্থান চালাচ্ছেন সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগত, বজরঙ্গ পুনিয়ারা। আন্তর্জাতিক বহু প্রতিযোগিতায় দেশের পতাকা জড়িয়ে পদক ঝুলিয়েছেন গলায়। অভিযোগ, গভীর রাতে তাঁদের অবস্থানে হামলা চালিয়েছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সেই ছবি বেরিয়েও গিয়েছে।
টানা প্রতিবাদ সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নীরব। সরকার এবং বিজেপি কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি সম্পর্কে চুপ। সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দাখিল হওয়ার জেরে সম্প্রতি ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে বাধ্য হয়েছে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু নাবালিকা নির্যাতন বিরোধী পকসো আইনে এফআইআর দায়ের হওয়ার পরেও ব্রিজভূষণ কিভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এদিন পুলিশ কড়া বেষ্টনী রেখেছিল প্রতিবাদস্থল যন্তর মন্তরেও। তবে কৃষক পরিবারের মহিলারা দেখা করেছেন সাক্ষী , ভিনেশদের সঙ্গে। নিপীড়ক রক্ষণশীলতা বিরোধী স্লোগান উঠেছে, ‘তোড় কে রাখ দো সমাজ, নারী জিসমে বন্দি হ্যায় আজ।’
Comments :0