পরিবারের ঠিক করা পাত্রকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেছিলেন যুবতী। দীর্ঘসময়ের সম্পর্ক যাঁর সঙ্গে, তাঁর সঙ্গেই চেয়েছিলেন পরিণয়ে আবদ্ধ হতে। সেই অপরাধেই খুন হতে হয়েছে তাঁকে। ঘাতক যুবতীর বাবা।
‘সম্ভ্রম হত্যা’-র এই ঘটনা মধ্য প্রদেশের গোয়ালিয়রে। বুধবার পুলিশ জানিয়েছে, কুড়ি বছরের তনু গুর্জরকে একেবারে কাছ থেকে গুলি করেন বাবা। দু’টি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করা হয়েছে মাথায় এবং মুখে। তনুকে হত্যার সময় বাবার সঙ্গে ছিল খুড়তুতো ভাই রাহুলও।
তনুদের পরিবারের বাস গোয়ালিয়রে আদর্শ নগর এলাকায়। বাবা মহেশ গুর্জরের রয়েছে ধাবা। ভারতীয় বিমানবাহিনীতে কর্মরত এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে পরিবার। তনু আপত্তি জানান। আগ্রার অন্য এক যুবকের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ কয়েকবছরের সম্পর্ক। তাঁকেই বিয়ে করতে চান তনু। তা নিয়েই চলছিল বিবাদ।
এদিন পুলিশ জানিয়েছে যে বাবা মহেশ গুর্জর এবং খুড়তুতো ভাই রাহুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গুরুতর কিছু ঘটতে পারে আশঙ্কা করেছিলেন তনু। ঘটনার কয়েকঘন্টা আগে পোস্ট করেছিলেন ভিডিও। বলেছিলেন, ‘তাঁর কিছু হলে দায়ী থাকবে পরিবারই।’ পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিও নজরে আসতে মঙ্গলবার আলাদা করে বোঝানো হয় তনু এবং তাঁর বাবাকে। তাতে কাজ যদিও হয়নি। কয়েকঘন্টা পরই ঘটে হত্যাকাণ্ড।
‘সম্ভ্রম হত্যা’-র বিভিন্ন ঘটনায় দেখা গিয়েছে পরিবারের সম্মান রক্ষার নামে হত্যাকাণ্ড ঘটছে। নিজের পছন্দে, বিশেষ করে, মেয়েদের বিয়েতে আপত্তি তীব্র থাকে পরিবারে। হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ বা উত্তর প্রদেশে এমন বহু ঘটনা সামনে এসেছে। মহিলা আন্দোলনকেও হুমকি মাথায় নিয়ে বারবার নামতে হয়েছে সামন্ততান্ত্রিক সমাজ কাঠামোয় পিতৃতান্ত্রিক সামাজিক বোঝাপড়ার বিরুদ্ধে। গড়তে হয়েছে সচেতনতা।
গোয়ালিয়েরের ঘটনায় বাবা মহেশও নিজেকে গুলি করতে চেয়েছিলেন কন্যাকে হত্যার পর। তবে পুলিশ পৌঁছে তাঁকে নিরস্ত করে। পরিবারের কেউ হত্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেনি। পুলিশকেই অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত চালাতে হচ্ছে।
Honour Killing Gwalior
নিজের পছন্দে বিয়েতে রোষ, গোয়ালিয়রে কন্যাকে হত্যা বাবার
×
Comments :0