CPI(M) Rally

‘জরিমানার টাকা এখন ডেকে ফেরত দিচ্ছে’

রাজ্য

CPIM Rally Susanta Ghosh

‘গ্রাম জাগাও-চোর তাড়াও’ শ্লোগানে ঝড় তুললো চারটি জাঠা মিছিল। লাল ঝান্ডার স্রোতে আছড়ে পড়লো ঘাটাল ব্লকের বরদা চৌকান স্থলে সমাবেশ মঞ্চের সামনে। মাঠ উপচে গেলো জন সমাগমে। হিসাব বুঝে নেওয়ার জনরোষ। সভা মঞ্চের সামনে যত মানুষ, তার পিছনে সড়ক রাস্তা সহ চারপাশের রাস্তায় তখন ছড়িয়ে গিয়েছে জমায়েতের বৃত্ত। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন সিপিআই(এম) পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ এবং পার্টির সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। 

 

 


‘গ্রাম জাগাও-চোর তাড়াও’ শ্লোগানে ঝড় তুললো চারটি জাঠা মিছিল। লাল ঝান্ডার স্রোতে আছড়ে পড়লো ঘাটাল ব্লকের বরদা চৌকান স্থলে সমাবেশ মঞ্চের সামনে। মাঠ উপচে গেলো জন সমাগমে। হিসাব বুঝে নেওয়ার জনরোষ। সভা মঞ্চের সামনে যত মানুষ, তার পিছনে সড়ক রাস্তা সহ চারপাশের রাস্তায় তখন ছড়িয়ে গিয়েছে জমায়েতের বৃত্ত। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন সিপিআই(এম) পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ এবং পার্টির সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। 

 


সুশান্ত ঘোষ বললেন, কেন্দ্র ও রাজ্য দুই শাসকদল একে অপরের বন্ধু। এই দুই দলই গরিব কৃষক, ক্ষেতমজুর, শ্রমজীবী মানুষের শত্রু। কর্পোরেট ও ফড়েদের দালাল। তৃণমূলের রাজত্বে ওদের নেতা মন্ত্রী সহ আমলা ও প্রশাসনের বিরাট একটা অংশ দুর্নীতি চালাচ্ছে লাগামছাড়া। এরাই এখন বাঁচতে বিজেপিতে ভিড়েছে। বিজেপিতে গিয়ে ধোয়া তুলসী পাতা হওয়া যায় না। সব চোরকে তাড়াতে হবে বাংলা ও দেশ বাঁচাতে। 
ঘোষ বলেন, হিটলারেরও হিম্মত হয়নি। আর তার নাতিপুতিরা বলি লালঝান্ডা মুছে দেওয়ার জন্য যারা হুঙ্কার দিয়ে জরিমানার নামে তোলাবাজি করেছে। মিথ্যা মামলা ও সন্ত্রাস নামিয়ে লুঠ ঘরছাড়া করেছে, জেলে খাটিয়েছে। বাংলার জনগণ হিসাব নেবেন। তারই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গ্রামে গ্রামে জরিমানা আদায়কে করেছিল যারা তারা এখন ডেকে ডেকে টাকা ফেরত দিচ্ছে। এবার আর সন্ত্রাস করে ফাঁকা মাঠে পঞ্চায়েত দখল নয়, সব চোর ও লুঠেরাদের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে। 


বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন তৃণমূল না এলে মানুষ জানতে পারতেন না কাটমানি, তোলাবাজ লুঠের সিন্ডিকেট বাহিনী কাকে বলে। নিজে পি এবং তৃণমূল দুই দলই মানুষের শত্রু। কৃষি কৃষক শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, আদিবাসী দলিত মানুষের বনভূমি জল জলাভূমির অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। কর্পোরেটের দালালি করছে। সাধারণ মানুষের শিক্ষার অধিকার কেড়ে নিতে চায়। শিক্ষার পরিকাঠামো, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্রের ওপর জবরদস্তি চলছে। বিভাজনের রাজনীতি কায়েম করতেই মোদী এবং মমতার দুই সরকার ধর্মীয় জিগির তোলে। বামপন্থীরাই বিকল্প, এই বৈষম্য শোষণ লুঠের সমাজে শ্রেণি ভারসাম্য বদলাতে পারে একমাত্র বামপন্থীরাই। এছাড়াও এদিনের সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টি নেতা উত্তম মন্ডল ও সভাপতিত্ব করেন অশোক সাঁতরা।
 

 

Comments :0

Login to leave a comment