GREECE BOAT CAPSIZE

জাহাজডুবিতে শতাধিক পরিযায়ীর মৃত্যুর শঙ্কা, তোলপাড় গ্রিস

আন্তর্জাতিক

GREECE BOAT CAPSIZE ছবি টুইটার থেকে।

পরিযায়ী শ্রমিকের ভিড়ে ঠাসা জাহাজডুবি ঘিরে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে গ্রিসের উপকূল রক্ষী বাহিনী। শুক্রবার পর্যন্ত ৭৮ জনের দেহ মিলেছে। ১০৪ জনকে জীবন্ত উদ্ধার করা গিয়েছে। কিন্তু শতাধিক যাত্রী নিখোঁজ গত বুধবারের এই ভয়াবহ বিপর্যয়ে। 

লিবিয়া থেকে পরিযায়ীদের নিয়ে ইতালিতে যাচ্ছিল ওই মাছ ধরার জাহাজ। অবৈধ অভিভাসন চক্র এমন জাহাজে ভরে পরিযায়ীদের পারপার করায়। জলযান ডুবে একাধিক মর্মান্তিক বিপর্যয় দেখা গিয়েছে গত কয়েক বছরে। তবে গ্রিসের জলভাগে ডুবে যাওয়া জাহাজে যাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় তোলপাড় পড়েছে দেশে এবং বাইরে। 

গ্রিসের উপকূল রক্ষী বাহিনীর দাবি, জাহাজটিকে তাড়া করা হয়নি। জোরও খাটানো হয়নি। পালাতে গিয়ে জাগাজ ডুবেছে এমন নয়, বরং বারবার বেতারে যোগাযোগ করা হয়েছে সহায়তার জন্য। কিন্তু বেতারবার্তায় সাড়া দেয়নি জাহাজটি।

উপকূল রক্ষী বাহিনীর ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় গ্রিসের বহু অংশ। বামপন্থীরা গিয়ে কথা বলেছেন বেঁচে ফেরা যাত্রীদের সঙ্গে। বামপন্থীরা বলছেন, ইতালি গন্তব্য হলেও গ্রিসের জলভাগে যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব ছিল উপকূল রক্ষী বাহিনীর। তা করা হচ্ছে না। এই ঘটনাতেও করা হয়নি। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও উদ্বেগ জানিয়েছে উপকূল রক্ষী বাহিনীর ভূমিকায়। ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। 

পশ্চিম এশিয়া এবং উত্তর আফ্রিকার দেশগুলি থেকে এমন বিপন্ন অভিবাসীর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পারাপার স্থায়ী প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। লিবিয়ার মতো আরব দুনিয়ার এই দেশগুলিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউতোপের যৌথ বাহিনী দখলদারি চালিয়েছে ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার’ লক্ষ্য ঘোষণা করে। স্থানীয় শাসকদের মৃত্যু অথবা উচ্ছেদ হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশগুলির অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে গিয়েছে। বিপন্ন পরিযায়ীরা আবার ইউরোপের দেশগুলিতে বৈষম্য এবং বিদ্বেষের মুখে পড়ছেন। 

রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরিযায়ী বিষয়ক বিভাগ জানাচ্ছে, মাছ ধরার ট্রলারের থেকে বড় জলযানে প্রায় সাড়ে ৭শো যাত্রী ছিলেন। যার অর্থ, এখনও নিখোঁজ প্রায় পাঁচশো যাত্রী। উদ্ধার করা গিয়েছে যাঁদের, শুক্রবার তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে গ্রিসের দক্ষিণ অংশের বন্দর শহর কালামাতায়। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে এথেন্সের পরিযায়ী শিবিরে। 

বামপন্থীরা বলছেন, যাত্রীদের মধ্যে বড় সংখ্যায় ছিলেন মহিলারা, সঙ্গে শিশুরা। খোঁজ না পাওয়া তালিকায় বেশি এমনই নাম। 

Comments :0

Login to leave a comment