Khandaghosh Housewife

ওড়িশা থেকে উদ্ধার খণ্ডঘোষের গৃহবধূ

রাজ্য

সামাজিক মাধ্যমে পরিচয় হয়ে ওড়িশার যুবকের সঙ্গে ঘর ছেড়েছিলেন খণ্ডঘোষের এক গৃহবধূ। সেখানে তাঁকে জোর করে আটকে রাখা হয়। এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানার পর খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ ওড়িশা থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে এনেছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের নাম রাজেশ কুমার সরঙ্গী। ওড়িশার গঞ্জাম জেলার বদাগড়া থানার মথুরাপদ্মনাভপুরে তার বাড়ি। সেখান থেকেই বৃহস্পতিবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয় গৃহবধূকে। সেদিনই ধৃত এবং অপহৃতাকে ওড়িশার সোবাদা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে এরাজ্যে আনার কথা জানিয়ে দু’দিনের ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন জানান খণ্ডঘোষ থানার তদন্তকারী অফিসার। ধৃতের একদিনের ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। সেইমতো শুক্রবার ধৃতকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। এদিনই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে উদ্ধার হওয়া গৃহবধূর গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করায় পুলিশ। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ২৮জুন ধৃতকে ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন সিজেএম চন্দা হাসমত। ধৃতের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক স্টেট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধানকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ঊনত্রিশের ওই গৃহবধূর সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে বছর পঁচিশের রাজেশের পরিচয় হয়। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন ওই গৃহবধূ। তারপর থেকে তাঁর হদিশ মিলছিল না। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, তিনি হাসপাতালে আসেন নি। আত্মীয়-স্বজনরাও তাঁর সম্পের্ক কিছু জানাতে পারেনি। এরপরই পরিবারের তরফে খণ্ডঘোষ থানায় ডায়েরি নথিভুক্ত করা হয়। এসপিকেও লিখিতভাবে বিষয়টি জানানো হয়। ৫ জুন দুপুরে গৃহবধূ তাঁর বাবাকে ফোন করেন। ফোনে তিনি জানান, তাঁকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। বাইরে বের হতে দেওয়া হয়না। এমনকি তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পরেরদিন আবার অন্য একটি নম্বর থেকে গৃহবধূ তাঁর বাবাকে ফোন করে তাঁকে উদ্ধার করার কথা জানান। উদ্ধার না করা হলে তাঁর চরম ক্ষতি হতে পারে বলে বাবাকে জানান গৃহবধূ। এরপরই গৃহবধূর বাবা ৮ জুন ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণের মামলা রুজু করে তদন্তে নামে থানা। যে দু’টি নম্বর থেকে তাঁর বাবার মোবাইলে ফোন এসেছিল তার সম্পের্ক তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশ। মোবাইলের সূত্র ধরে ফোনটি বদাগড়া থানা এলাকা থেকে এসেছিল বলে জানা যায়। এরপরই খণ্ডঘোষ থানার একটি দল ওড়িশার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। মোবাইলের সূত্র ধরে রাজেশের খোঁজ পায়। স্থানীয় থানার সাহায্য নিয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে। 

Comments :0

Login to leave a comment