পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় বাংলার ৬ পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু। বনগাঁর তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে মুম্বাইয়ে। বরিভেলিতে কাজে গিয়েছিলেন পীযূষ হালদার(৩৬), শংকর বৈধ(২৬)ও মনোরঞ্জন সমাদ্দার(৪৬)নামে তিন শ্রমিক। সেখানে একটি ১৬ তলা বিল্ডিং’র কার্নিশ ভেঙে পড়ে তাদের মৃত্যু হয়। ঘটনায় বনগাঁর সীতানাথপুর গ্রামে শোকের আবহ তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে ছত্তিশগড়ে ধামতারি জেলায় সেতুর ওপর মোটরসাইকেল খালে পড়ে মালদার তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যায়। হাই টেনশন বিদ্যুতের লাইন পাতার কাজ করতেন ওই ৩ শ্রমিক। ছত্তিশগড়ের প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে মালদার ৩ শ্রমিক শরিফুল হক(২১) আব্দুর রহিম(৪২) এবং কমলিন জামাল(২৬) একটি মটরসাইকেল করে সাঁকড়া গ্রামের দিকে যাওয়ার সময় সিহাওয়া থানা এলাকার ভোটালী বোদরা গ্রামে কাছে একটি সেতুর রেলিংএ ধাক্কা মেরে ১৪ ফুট নিচে পড়ে যান। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছে তিন জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তিনজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে। পুলিশের পক্ষ থেকে মৃতদের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে বলে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর।
পেটের টানে মালদহ থেকে ছত্তিশগড়ের ধামতরীতে গিয়েছিলেন ওই শ্রমিক। সেখানে গিয়ে তাঁরা ভোটালী এলাকায় হাইটেনশন তার বসানোর কাজ করতেন।
বৃহস্পতিবার বনগাঁর তিন শ্রমিকের মরদেহ ফিরছে সীতানাথপুর গ্রামের বাড়িতে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, গ্রামে কাজ নেই। তাই সংসার চালানোর তাগিদে ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিলেন গ্যাড়াপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের সীতানাথপুর গ্রামের শংকর বৈদ্য, পীযূষ হালদার, এবং মনোরঞ্জন সমাদ্দার। তাঁরা কয়েক মাস আগে মুম্বাইতে রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেখানে বহুতল নির্মান হচ্ছে। আর সেই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই তিনজন। গ্রামের আরো এক যুবক রয়েছেন এই কাজের সঙ্গে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ ওই ভবনের ১৮ তলার লিফটের কাজ চলছিল। আচমকাই নির্মিয়মান ওই লিফট হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। তিনজনই একটি জলাসয়ের মধ্যে পড়ে নিঁখোজ হয়ে যায়। পরে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বুধবার রাতেই তাদের মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছতেই সীতানাথপুর গ্রামে কান্নার রোল পড়ে যায়। বৃহস্পতিবার তাদের কফিনবন্দি মৃতদেহ গ্রামে আসছে।
Comments :0