বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক মঞ্চ প্রথম জনসভা করবে মধ্য প্রদেশের ভোপালে। চলতি বছরের শেষে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা এই রাজ্যে। বুধবার দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’-র সমন্বয় কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে যে প্রকাশ্য প্রচারে জোর দেওয়া হবে মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারির পাশাপাশি বিজেপি’র দুর্নীতিতেও।
এদিন বৈঠকে অংশ নেন ১২টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। কংগ্রেসের সংগঠন বিষয়ক সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল, ডিএমকে’র টিআর বালু, শিবসেনা উদ্ধব গোষ্ঠীর সঞ্জয় রাউত, আরজেডি’র তেজস্বী যাদব, আপ’র রাঘব চাড্ডা, সমাজবাদী পার্টির জাভেদ আলি খান, জনতা দল-ইউ’র সঞ্জয় ঝা, সিপিআই’র ডি রাজা, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওমর আবদুল্লা, পিডিপি’র মেহবুবা মুফতি।
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই ভোপালে এই জনসভা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে তারিখ পরে জানানো হবে।
এই কমিটিতে প্রতিনিধির নাম পরে জানাবে সিপিআই(এম)। তৃণমূল মনোনীত সদস্য অভিষেক ব্যানার্জি এদিন কলকাতায় নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে ইডি’র জেরার মুখে ছিলেন।
১ সেপ্টেম্বর মুম্বাইয়ে বিজেপি বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’-র বৈঠকে একাধিক কমিটি গড়া হয়েছে। ১৪ জনকে নিয়ে হয়েছে সমন্বয় এবং নির্বাচনী কৌশল সংক্রান্ত কমিটি। বুধবার এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারের দিল্লির বাসভবনে হয়েছে বৈঠক।
বেণুগোপাল জানিয়েছেন যৌথ প্রচারে গুরুত্ব পাবে জাতভিত্তিক জনগণনার দাবিও। নরেন্দ্র মোদী সরকার দেশে সাধারণ জনগণনাও বন্ধ করে রেখেছে। এই প্রথম নির্দিষ্ট সময়ে জনগণনা হলো না। জাতভিত্তিক আর্থ সামাজিক সমীক্ষাও বন্ধ করে রেখেছে কেন্দ্র। ২০১১’তে হয়েছিল এই সমীক্ষা।
বৈঠকে এদিন ঠিক হয়েছে যে সংবাদমাধ্যমে বিদ্বেষের প্রচার রুখতে চাপ দেওয়া হবে। ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের অংশীদার দলগুলি যাবেন না কয়েকটি নির্দিষ্ট ‘টক শো’-তে। কোন কোনও নিউজ অ্যাঙ্করদের অনুষ্ঠান বয়কট করা হবে পরে তা ঠিক হবে। সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংবাদমাধ্যম বিষয়ক সাব কমিটিকে।
বেণুগোপাল এদিন বলেছেন যে ইডি’র জেরার কারণে অভিষেক ব্যানার্জি আসতে পারেননি। কেন্দ্রের বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসার রাজনীতির নমুনা এই জেরা। এর আগে যদিও সিপিআই(এম) প্রশ্ন তুলেছে যে গুরুতর দুর্নীতির তদন্তে ডাকা হচ্ছে এমন একজনকে সমন্বয় কমিটিতে প্রতিনিধি কেন করে পাঠিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বিজেপি’র একাধিক দুর্নীতি নিয়ে কংগ্রেস এবং বামপন্থীদের পাশাপাশি একাধিক বিরোধী দল সরব। ইডি এবং সিবিআই’কে কেবল বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে কেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে বারবার। বিশেষ করে দল বদলে বিজেপি’তে যোগ দিলেই পশ্চিমবঙ্গে শুভেন্দু অধিকারি বা আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাদের তদন্তে ছাড় মিলে যাওয়ায় প্রশ্ন জোরালো। উলটোদিকে বিজেপি সরকারের বেনিয়ম ধরা পড়ছে সিএজি’র রিপোর্টেও। আদানি প্রশ্ন ঘোরালো হয়ে রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অংশ মনে করিয়েছেন যে তৃণমূলের দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই এবং ইডি’র অংশগ্রহণের ধরন তুলনায় আলাদা। দুর্নীতির শিকার হয়ে বঞ্চিতদের আবেদন এবং আদালতের নির্দেশেই তদন্তে নামতে হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে।
Comments :0