পুলিশের মারে মহিলা মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে দুজন পুলিশ কর্মী সহ কোচবিহার কোতোয়ালি থানার ৩ জন অস্থায়ী গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন মৃতের মেয়ে হাছিনা বানু। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় পুলিশ কর্মী বিশ্বজিৎ মল্লিক, উত্তম ছেত্রী সহ থানার অস্থায়ী গাড়ি চালক প্রসন বর্মন, জান্নাত হোসেন ও সাগর হোসেনের বিরুদ্ধে এই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এছাড়াও আরও ২০ থেকে ২২জন পুলিশ কর্মী ছিলেন বলে উল্লেখ রয়েছে এই অভিযোগ পত্রে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে কোচবিহার শহর সংলগ্ন গুড়িয়াহাটি ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হরিণচওড়া গুদাম মহারানী এলাকায় আম্বিয়া বিবি, নামে ৫৫বছরের এক মহিলার মৃত্যু হয়। পুলিশের মারে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের সদস্যদের। তবে এই অভিযোগ পুরোপুরি ভাবে অস্বীকার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, এই এলাকার বাসিন্দা হাফিজ আলির ছেলে আমজাদ আলির একটি দোকান রয়েছে স্থানীয় তোর্ষা নদীর বাঁধের রাস্তার পাশে। বৃহস্পতিবার এই দোকানের সামনেই নিজেদের গাড়ি ধোয়ামোছা করছিলেন গাড়ির চালক। সংশ্লিষ্ট এই গাড়িটি পুলিশের ভাড়া নেওয়া। আমজাদ আলি এই গাড়ি চালককে অনুরোধ করেন গাড়িটির দোকানের সামনে থেকে সরিয়ে ধোয়ামোছা করবার জন্য। আর এতেই এই পুলিশের গাড়ি চালকের সাথে হাতাহাতি বেঁধে যায় আমজাদের। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন এই বিবাদ মিটিয়ে দেন।
কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে শুক্রবার মাঝরাতে আচমকা ৫টি গাড়িতে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার প্রচুর সংখ্যক পুলিশ হানা দেয় এই হাফিজ আলির বাড়িতে। রীতিমতো বাড়ি ঘিরে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় বাড়ির পুরুষ ও মহিলাদের। তাদের মারে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় হাফিজ আলির স্ত্রী আম্বিয়া বিবির বলে অভিযোগ। এই অভিযোগকে সামনে রেখেই এদিন কোচবিহার কোতোয়ালি থানার দ্বারস্থ হন এই মৃতের পরিবারের সদস্যরা। তারা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন এদিন।
Cooch Behar
পুলিশের মারে মহিলা মৃত্যু, অভিযোগ দায়ের পরিবারের
×
Comments :0