৭ দিনে নতুন কারও নিপা ভাইরাসে সংক্রমণ ধরা পড়েনি। কোঝিকোড়ে এবার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলো। ভাড়াকড়া মহকুমার ৯টি পঞ্চায়েত এলাকায় যাতয়াতের রাস্তা খুলে দিচ্ছে কেরালা সরকার।
নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছিল কেরালার কোঝিকোড় জেলাতেই। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক দুই রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে নিশ্চিত করে। দ্রুত সতর্কতা নিতে শুরু করে কেরালা। ‘কনটেইনমেন্ট জোন’ বা সংক্রমণের এলাকাগুলিকে ঘেরাটোপে রাখা হয়। অবাধ যাতায়াতে বিধিনিষেধ চালু হয়।
শুক্রবার কেরালা সরকার জানিয়েছে নতুন সংক্রমণের খোঁজ না মিললে কড়াকড়ি আরও শিথিল করা হবে। কোঝিকোড় কর্পোরেশনেরও সাতটি ওয়ার্ডে ঘেরাটোপ ছিল। এবার সেখানেও কড়াকড়ি শিথিল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
কোভিড সংক্রমণের আগেই কেরালা নিপা ভাইরাসের প্রথম পর্বে সংক্রমণের শিকার হয়েছিল। রাজ্য কেন্দ্র থেকে মাটির স্তরে স্বাস্থ্যকেন্দ্র পর্যন্ত সতর্কতা বিধি চালু করে। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছিল কোভিড মোকাবিলার সময়ও। সেই সময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী কেকে শৈলজা জানিয়েছিলেন যে বিকেন্দ্রীকরণকে কাজে লাগিয়েই চলেছে মোকাবিলা।
শুক্রবার প্রশাসন জানিয়েছে, ঘেরাটোপের এলাকায় এখন সব দোকান রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ভাড়কারা মহকুমায় নিপা ভাইরাসে মৃত দু’জনের সংস্পর্শে এসেছেন এমন সকলকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। নতুন করে সংক্রমণ পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে কেরালার স্বাস্থ্য দপ্তর সর্বত্র সতর্কতা বজায় রাখতে বলেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলরাও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন এমন প্রত্যেককে আলাদা হয়ে থাকারই পরমার্শ দেওয়া হয়েছে আরও কিছুদিন।
১৫ সেপ্টেম্বরের পর নিপা ভাইরাসে আর কোনও আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
Comments :0