বলাগড়ে রাস্তায় মৃতদেহ রেখে অবরোধ গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কি ভাবে চার জনকে মারার পরও বেপরোয়া চালক জামিন~ পায়।
মঙ্গলবার বলাগড় বড়াল এলাকায় বেপরোয়া মারুতি গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক কিশোরী সহ তিন বাইক আরোহীর। পরে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু হয়। চিকিৎসায় গাফিলতি, পরিকাঠামো নিয়ে অসন্তোষের পাশাপাশি অভিযুক্ত গাড়ির চালক জামিন পেয়ে যাওয়ায় পুলিশের ভূৃমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বুধবার সন্ধা থেকে খামারগাছির মুক্তারপুর বাস স্যান্ড এস টি কে কে রোড অবরোধ করে গ্রামবাসীরা।
বাবার বাইকে চেপে যাওয়ার সময় দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বছর দশেকের ঋত্বিকা দাসের। কিশোরীর বাবা রাজু দাসের মৃত্যু হয় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। আরো দুই বাইক আরোহীর মৃত্যু হয়েছিল এই দূর্ঘটনায়। আজ সন্ধায় মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সুবিচার চেয়ে এস টি কে কে রোড অবরোধ করে গ্রামবাসীরা।
অভিযোগ এরকম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। সেই মারুতি গাড়ির চালক বিপ্লব কর্মকার জামিন পেলো কি করে। হুগলীর গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি ক্রাইম দেবী দয়াল কুন্ডু , মগড়ার সিআই শ্যামল চক্রবর্তী ওবলাগড় থানার ওসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় তিন ঘন্টা অবরোধে তীব্র যানজট তৈরি হয় এস টি কে কে রোডে।
মৃতের ভাই ত্রিদীপ দাস বলেন এত বড় ঘটনার পর জামিন কিভাবে হলো।
আগামী এক মাসের মধ্যে এই কেসের চার্জশিট জমা দেবে বলে জানিয়েছে বলাগড় থানার আধিকারিকরা।
Comments :0