Left Parties

১৪-২০ ফেব্রুয়ারি প্রচারে দেশে, রাজ্যে অন্যায়ে প্রতিবাদের ডাক বামপন্থীদের

রাজ্য

কেন্দ্রীয় বাজেটের বিরুদ্ধে সারা দেশের মতো এ রাজ্যেও প্রচারে নামবে বামপন্থী  দলগুলি। সেই সঙ্গে, ১৪-২০ ফেব্রুয়ারি, প্রচারে আনা হবে রাজ্যে কর্মহীনতা, লুট, আইনশৃঙ্খলার অবনতির মতো বিষয়ও। আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক হত্যার বিচারের দাবিও উঠবে প্রচারে। 
মঙ্গলবার রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বিবৃতিতে প্রচারের এই বিষয় জানিয়েছেন। এ রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার বিষয়ে প্রচার হবে জেলায় জেলায়। হাতকড়া পরিয়ে ভারতীয় অভিবাসীদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরানো এবং দেশের বিজেপি সরকারের নীরব অবস্থানেরও প্রতিবাদ জানানো হবে।
এ রাজ্যে সিপিআই(এম), সিপিআই, সিপিআই(এমএল) লিবারেশন, আরএসপি, এআইএফবি, আরসিপিআই, এমএফবি, বলশেভিক পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষে দেওয়া হয়েছে এই বিবৃতি। দিল্লিতে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বামপন্থী দলগুলির বৈঠক থেকে ১৪-২০ ফেব্রুয়ারি প্রচার আন্দোলনের সিদ্ধান্ত হয়। 
এদিন বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে কেন্দ্রীয় বাজেটে জনগণের মৌলিক ও আশু চাহিদাগুলি উপেক্ষা করা হয়েছে। ব্যাপক বেকারত্বের সমস্যার সমাধানে কোনো দিক নির্দেশ করা হয়নি। আয়করের সীমা ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোয় বিধিবদ্ধভাবে চাকুরি ও অন্যভাবে আয় করা মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের সুরাহা হলেও মূল্যবৃদ্ধি এবং জিএসটি’র মতো পরোক্ষ করের প্রভাবে বৃহত্তর শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত হয়েছে। ধনী ও কর্পোরেট সংস্থাগুলির ওপর কর আরোপ করে এই সমস্যার সমাধান সম্ভবপর হতে পারত। কিন্তু সরকার সেই পথে না হেঁটে কর্পোরেট ও ধনীদের বাড়তি সুবিধা দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে। 
বামপন্থী দলগুলির বিকল্প প্রস্তাবে জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে, মজুরি বৃদ্ধি করে অর্থনীতির চাহিদা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। বামপন্থীরা বলেছে, এই বিকল্প প্রস্তাবগুলি জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক সুরক্ষার অধিকারকে সুনিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। 
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ রাজ্যের সরকার অনেক ঢক্কানিনাদ করে কর্পোরেট হাউসের সহযোগিতায় বেঙ্গল বিজনেস সামিট করে রাজ্যের উন্নয়নের নানা কথা বলেছে। কিন্তু রাজ্যের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়েনি, বেকার যুবকযুবতীদের জীবন যন্ত্রণার সমাধান হয়নি। বরং তৃণমূল দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, লুটপাট ও হামলায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে, জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। 
বলা হয়েছে, আর জি কর হাসপাতালে পিজিটি ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনাকে নানা কৌশলে ধামাচাপা দেওয়া এবং প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত দোষীদের আড়াল করতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও রাজ্যের তৃণমূল সরকার নানা কৌশল গ্রহণ করে চলেছে। এই জঘন্য কাজের প্রতিবাদে এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রতিবাদীদের সব আন্দোলনে বামপন্থীরা পূর্ণ সমর্থন চালিয়ে যাবে। রাজ্যে নানা কৌশলে সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টির অপচেষ্টা এবং জনগণের ঐক্যবিরোধী শক্তিগুলি সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক থাকার আবেদন জানানো হচ্ছে। 
বিবৃতিতে বিমান বসু বলেছেন, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প সরকার যেভাবে ভারতীয় অভিবাসীদের সামরিক বিমানে হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে অমৃতসর বিমানবন্দরে ফেরৎ পাঠিয়েছে তা বর্বরোচিত। স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হওয়া সত্ত্বেও ভারতের সরকার এর বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ করেনি। বামফ্রন্ট মার্কিন সরকারের বর্বর আচরণ এবং ভারত সরকারের নীরবতার তীব্র নিন্দা করছে।
জেলায় জেলায় ব্যাপক প্রচার সংগঠিত করতে আবেদন জানানো হয়েছে

Comments :0

Login to leave a comment