Makar sankranti

অগ্নিমূল্যের বাজারে আনন্দও দামি

রাজ্য

মকর সংক্রান্তি মানেই পিঠেপুলি খাওয়ার দিন। বাঙালিরা তো বটেই সারা ভারতে বিভিন্ন নামে পালিত হয় এই সময়।বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পৌষ মাসের শেষ ও মাঘ মাসের সূচনার এই সময় কাল কোথাও লহরি, কোথাও বিহু, কোথাও পোঙ্গল কোথাও ধান্য উৎসব নামে পরিচিত। নামে বৈচিত্র থাকলেও আসলে ও ফসল রোপন করার এই সময়কালকে উৎসবের মাধ্যমে উদযাপন করা। 

{ar}
শহরাঞ্চলে এর প্রভাব তেমনটা দেখা যায় না। অনেকের বাড়িতে পিঠে তৈরি হয় ঠিকই। তবে মিষ্টির দোকানে খুব সহজেই পিঠে পাওয়া যাওয়ায় অনেকেই তা কিনে নিয়ে যায়। তবে গ্রামের দিকে রীতিমত আয়োজন করে হয় পিঠেপুলি খাওয়া। পালা গান, কীর্তন, টুসু রানীকে পালকিতে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে হয় পালন করে এই দিন গুলি। এখন অবশ্য গুঁড়ো কররার মেশিন প্রায় সকলের ঘরে আছে তবে গ্রাম ভারতে ঢেকিতে বা জাতায় চাল গুড়ো করার প্রচলন ছিল। নিতান্ত কৃষকদের এই উৎসব সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে পালিত হয় বা হতো তার বর্ণনা সাহিত্যেতেও আছে।


তবে বিজেপি সরকারের জমানায় সাধারণ এই ঘরোয়া উৎসবেও যেত টান। চালের দাম, চালের গুঁড়োর দাম, চিনি গুড় সব কিছুর আকাশ ছোঁয়া দামে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। বাজারে বেলাগাম সমস্ত জিনিসের দাম। প্যাকেটজাত চালের গুড়োতে জিএসটি বসে  দাম ২০ টাকা কেজি থেকে হয়েছে প্রায় ৫০ টাকা। তেমনি দাম গুড়ের ১০০ টাকার নীচে কেজি নেই। বেড়েছে চিনির দাম। খোলা বাজারে নারকেলের দাম প্রতি পিস কমপক্ষে ৫০ টাকা। জিনিসের যদি এত দাম থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের পক্ষে কি আনন্দ করা সম্ভব প্রশ্ন তুলেছে এম জনতা। সামান্য পৌষ পার্বনকে ঘিরে অগ্নিমূল্য বাজার। বিজেপি জমানায় যেন আনন্দ করাটাও দামি হয়ে গেছে,দাবি আম জনতার।

Comments :0

Login to leave a comment