Comrade Rajibul Haque

আউশগ্রামের পথে কমরেড রাজিবুলের দেহ

রাজ্য

Comrade Rajibul Haque


রবিবার শহীদ কমরেড রাজিবুল হকের মরদেহ কলকাতার এনআরএস হাসপাতাল থেকে এখন বর্ধমানের পথে। এদিন সিপিআই(এম) পূর্ব বর্ধমান জেলা দপ্তরে তাঁর মরদেহে শ্রদ্ধা জানাবেন পার্টির রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সহ পার্টি নেতৃবৃন্দ। এরপর আউশগ্রামে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া যাবে। সেখানেও শ্রদ্ধা জানাবেন পার্টি নেতৃবৃন্দ। তারপর তাঁর মরদেহ সমাধিস্থ করা হবে। 


শুক্রবার বিকেলে আউশগ্রাম থানার অমরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিষ্ণুপুর গ্রামের স্কুলের ৭ নম্বর বুথে ভোট কর্মীরা পৌঁছালে সেখানে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান এবাদত শেখ তাঁদের খাবার, অন্যান্য ব্যবস্থা করার তদবির শুরু করে। গ্রামের মানুষ প্রতিবাদ করেন, তাঁরা ভোট কর্মীদের মধ্যে প্রিসাইডিং অফিসার কে তা জেনে নিয়ে বলেন, এখানে আপনাদের খাবারের জন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সাহায্য নেবার দরকার নেই। এখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠী আছে, তাঁদের টাকা দিলে ওঁরাই আপনাদের রান্না করে খাওয়াবেন। 


এতেই চটে যায় তৃণমূলের প্রধান। তিনি একটি বাঁশের ডাণ্ডা নিয়ে তেড়ে আসে সিপিআই(এম) কর্মী রাজীবুল শেখের উপর। তাঁর মাথায় আঘাত করে বাঁশ দিয়ে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারান। এর পরেই গ্রামের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে তৃণমূলের গুন্ডাদের তাড়া করেন। দুষ্কৃতীরা ছিল সশস্ত্র। প্রধান সহ তৃণমূলীরা তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তৃণমূলীদের হামলায় ৫ জন সিপিআই(এম) কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 
কমরেড রাজিবুল হকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ওইদিন গভীর রাতে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।  
রাজিবুলের মৃত্যুর খবর পৌছাতেই গোটা বিষ্ণুপুর গ্রাম ক্ষোভে ফেটে পড়ে। মানুষের সেই মেজাজ দেখে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়।  

 

Comments :0

Login to leave a comment