আরএসএস পরিচালিত বিজেপি সরকার পরিচালিত হচ্ছে কর্পোরেট পুঁজির স্বার্থে। সংবিধানের ধর্মনিপেক্ষ আদর্শ বিপন্ন। দেশের সম্পদ আদানি আম্বানীর মতন বেসরকারি পুঁজিপতিদের হাতে সঁপে দিচ্ছে। দেশ শাসনের নামে ঘৃণা, বিদ্বেষ, বিভাজনের রাজনীতি দিয়ে মানুষ ভাগ করা হচ্ছে। এদিকে আরএসএস’র মানস কন্যা পশ্চিমবঙ্গে লুট দুর্নীতির অপশাসনে রাজ্যটাকে রসাতলে পাঠিয়েছেন। চাকরি লুট, কয়লা লুট, বালি লুট, ভোট লুট, ভোট গণনা লুট, মহিলার সম্ভ্রম লুট, শিক্ষা লুট, স্বাস্থ্য লুট, লুটের স্বর্গরাজ্য। আকাশছোঁয়া জিনিসের দাম, চড়া হারে বিদ্যুতের মাশুল, একটাও কারখানা হয়নি। কাজের সুযোগ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতি মানুষ মুখ বুজে মেনে নেবেনা। রুখে দাঁড়ান। আরো বেশি মানুষকে নিয়ে জোটবদ্ধ হোন। প্রতিবাদের তরঙ্গে শাসকের পরাভব গুঁড়িয়ে দিন। বুধবার বার্নপুরে উপচে পড়া সমাবেশে একথা বলেন যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি।
এদিন বার্নপুর বাসস্ট্যান্ডে বামপন্থী গণসংগঠনগুলির ডাকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারি এবং তৃণমূল বিজেপি’র বিভাজনের নীতি ও অপশাসনের বিরুদ্ধে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে মীনাক্ষী ছাড়াও বক্তব্য রাখেন দীপায়ন রায়, সৌরেন চ্যাটার্জি। সভা পরিচালনা করেন শিল্পী চক্রবর্তী।
নেতৃবৃন্দ বলেন, রেল, ব্যাঙ্ক সহ সরকারি ক্ষেত্রে লক্ষাধিক শূন্যপদ পড়ে রয়েছে। নিয়োগ হচ্ছেনা। চুক্তি প্রথা, ঠিকাদারি প্রথা এবং আউটসোর্সিং-এর মাধ্যমে কাজ করানো হচ্ছে। ডিজেল, পেট্রল, রান্নার গ্যাসের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। প্রতি পরিবারে বেকারে ছেয়ে গেছে। কাজ নেই। পরিস্থিতি বদল করতে হবে।
এদিন দুর্গাপুরে এই দাবিগুলি নিয়ে পার্টির ডাকে পদযাত্রা হয়। ৩২ নম্বর ওয়ার্ড পলশডিহা এলাকার বুথগুলি পরিক্রমা করেন পদযাত্রীরা। শেষ হয় পিয়ালা গ্রামে। সিপিআই(এম) নেতা পার্থ দাস, শ্যামা ঘোষ নেতৃত্ব দেন। পদযাত্রা শেষে সভায় বক্তব্য রাখেন প্রভাস সাঁই।
একই দাবিতে এদিন কর্মসুচি হয় সালানপুর এলাকায়। দেশবন্ধু পার্ক, জোড়বাড়ি গ্রাম, লম্বাবস্তি, কল্যাণগ্রাম, নেতাজী কলোনী, চয়নপুর, কেন্দুয়াডিমোড়, হরিসাডি গ্রাম, রূপনগর, সীমান্তপল্লি, ডাবরমোড়েপথসভা হয়। বক্তব্য রাখেন অশোক ব্যানার্জি, গণেশ পন্ডিত, মেঘনাদ ব্যানার্জি প্রমুখ।
Comments :0