ডিওয়াইএফআইয়ের ইনসাফ যাত্রা। ৩ নভেম্বর কোচবিহার থেকে শুরু হয়েছে এই ইনসাফ যাত্রা। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সোমবার ইনসাফ যাত্রা জলপাইগুড়ি থেকে শুরু হয়েছে। যাবে রায়গজ্ঞ। কোথাও ঢাক বাজিয়ে বা কোথাও ধামসা মাদল বাজিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হচ্ছে ইনসাফ যাত্রায় অংশ নেওয়া ডিওয়াইএফআই কর্মীদের।
একটা ইনসাফ যাত্রা। সেই যাত্রা দেখার জন্য মানুষ ভিড় জমাচ্ছে আলপথ থেকে রাজপথে। সোমবার মীনাক্ষী মুখার্জি, ধ্রুবজ্যোতি সাহারা যখন মিছিল নিয়ে রায়গজ্ঞের দিকে এগিয়ে চলেছেন, তখন রাস্তা ‘আটকায়’ করয়েকজন স্কুল ছাত্রী। সংখ্যাটা কম ছিল না। সাথে তাদের অভিভাবক, স্থানীয় মানুষজন।
একজন বৃদ্ধা মীনাক্ষী মুখার্জিকে দেখে এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরলেন। নিজের পরিচিত ভঙ্গিতেই ‘ঠাকুমার’ কথা শুনলেন, উত্তর দিলেন। তারপরই এক দৃশ্যের সাক্ষী থাকলো গোটা ইনসাফ যাত্রা। একদল ছাত্রী ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদকের কাছে এগিয়ে এসে প্রণাম করতে গেলেন। কিন্তু যুব নেত্রী তাদের আটকালেন। হাত ধরলেন। বললেন, ‘‘বড় হও।’’
২০২১ সালে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে মীনাক্ষী মুখার্জিকে যখন প্রার্থী করা হয়েছিল মমতা ব্যানার্জি এবং শুভেন্দু অধিকারির বিরুদ্ধে তখন সেখানকার ‘কালচা দিদি’ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এই ইনসাফ যাত্রাণ তারই অনেকটা বহিপ্রকাশ লক্ষ করা যাচ্ছে। মীনাক্ষী মুখার্জি দৃঢ়। তিনি সবাইকে ‘লাল সেলাম’ জানালেন।
কাজ চাই, শিক্ষা চাই। এই দাবিকে সমানে রেখে দুমাস রাজ্য জুড়ে মিছিল করবে ডিওয়াইএফআই। ৭ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এই ইনসাফ যাত্রা। যুব নেতৃত্বের কথায় কাজের দাবিতে তাদের এই পদযাত্রা শুধু নয়। রাজ্যের তৃণমূল এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যে ভাবে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের সাথে অন্যায় করে চলেছে তার ‘ইনসাফ’ চেয়ে তারা পথে নেমেছে।
কোচবিহার থেকে শুরু হওয়া এই পদযাত্রায় বার বার দেখা যাচ্ছে যে, ছোট বড় বিভিন্ন সভায় যুবরা বলছেন, কাজের দাবি শুধু নয় সাধারণ মানুষে নিত্য দিনের যেই সমস্যা বিচার তারা চায়।
গায়ে সাদা জামা। মাথায় সাদা টুপিতে আঁকা লাল তারা। সবার হাতে বড় সাদা ঝান্ডা। যেই ঝান্ডা রাজ্যের কারখানার জন্য পদযাত্রা করেছিল, বক্রেশ্বর তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে জন্য রক্ত দিয়েছিল। সেই সংগঠন ডিওয়াইএফআই এবার কোচবিহার থেকে কলকাতা পর্যন্ত পদযাত্রা শুরু করলো কাজের দাবি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারকে সুনিশ্চিত করতে।
Comments :0